অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাড়ানো হলো চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের নিরাপত্তা

0
maxresdefault
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি গুগল থেকে নেয়া।

সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বিমানবন্দর এলাকায় নিয়মিত র‌্যাব-পুলিশ টহলের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), আনসার সদস্য।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার মোহাম্মদ রিয়াজুল কবির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা ঢেলে সাজিয়েছে।

তিনি বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর থেকেই শাহ আমানত বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকবল। যাত্রীদের তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত ৫০ জন এপিবিএন সদস্য বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরে কাস্টমস শাখার শূন্যপদে দুজন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়। এ ছাড়া বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সকল সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ইমিগ্রেশন) আরেফিন জুয়েল বলেন, বিমানবন্দরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগে ২৫০ জন এপিবিএন সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও ৫০ জন বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুলশান এবং শোলাকিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার পর দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, সতর্কতামূলক হিসেবে বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সরকার বিমান চলাচলে নিরাপত্তার বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলবে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।