অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রহস্যজনক নিখোঁজ ৫ কিশোর যুবকের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ

0
Pabna-missing-5
নিখোঁজ কিশোরদের ৩ জন।

চট্টগ্রামের তিন উপজেলার দুই কিশোরসহ ৫ জন দীর্ঘদিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের কোন সন্ধান পাচ্ছেনা তাদের পরিবার। নিখোঁজ এসব কিশোর, যুবকরা কোন জঙ্গি সংগঠনের যোগ দিয়ে স্বেচ্ছায় অন্তরর্ধান হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধ্যানে নেমেছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা।

গুলশান ট্র্যাজেডির পর নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে এই ছয়জনের সম্পর্কে তথ্য পায় পুলিশ। এখন তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া জিডি ও মামলা বর্হিভূত কোন নিখোঁজ থাকলে তাদের ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।

Screenshot_1
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কার্যালয়।

সূত্রমতে, নিখোঁজদের মধ্যে রাউজানে দুজন মাদ্রাসা ছাত্র রয়েছে। এরা হল হলদিয়া ইউনিয়নের হযরত আব্দুল কাদের হেফজখানা ও এতিমখানার ছাত্র মো.ফরহাদ (১৩) এবং পৌরসভার গহিরা এফ কে এম জামেউল উলুম বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মো.এমরান হোসেন (১৪)।

ফরহাদ হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্ত্তা গ্রামের সুলতান মিয়া তালুকদার বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ফরহাদ নিখোঁজ আছে।

এমরান রাঙামাটি জেলার কাউখালী থানার বেতবুনিয়া নতুন পাড়ার মোহাম্মদ ইউনূসের ছেলে। পড়ালেখার জন্য এমরান গহিরা এফ কে এম জামেউল উলুম বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থাকত। সেই ছাত্রাবাস থেকেই গত বছরের ২৫ অক্টোবর এমরান নিখোঁজ হয়ে যায়।
অন্য ৩ নিখোঁজরা হলো, পটিয়া উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর এক নম্বর ওয়ার্ডেও আবদুল হকের ছেলে মো: কাইয়ুম, চন্দনাইশ উপজেলার চরবরমা গ্রামের নুরুল মোস্তফার ছেলে কাউসার হামিদ (২০) ও হালিশপুর গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে মো: জসিম উদ্দিন (৩০)।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) রেজাউল মাসুদ জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ চট্টগ্রাম জেলার নিখোঁজ যুবকদের তালিকা তৈরী করতে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে বিগত ৬মাস আগ থেকে যারা নিখোঁজ রয়েছে তাদের তালিকা করেছি সেখানে ৫জন নিখোঁজের তথ্য পেয়েছি।
নিখোঁজ এসব কিশোর, যুবক কোন জঙ্গি দলে যোগদান করে লুকিয়ে আছে কিনা অনুসন্ধান চলছে।

তিনি বলেন, আমরা আরেকটি তালিকা করবো যেখানে বিগড় ১৮মাস আগ থেকে যারা নিখোঁজ তাদের তথ্য পেতে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরীতে প্রথমত আমরা থানায় জিডিগুলো দেখছি। এছাড়াও স্থানীয় মেম্বার, চকিদারের মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ৬ মাসের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও পরবর্তীতে দেড় বছর পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়ার কথা বলছে পুলিশ। এদিকে, মহানগরীর ১৬টি থানায়ও নিখোঁজদের তালিকা তৈরির কাজ চললেও তা শেষ হয়নি এখনো।