অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে দারুণ কিছু টিপস

0

পিরিয়ড মেয়েদের জন্য স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক একটি বিষয়। প্রাকৃতিক করণেই অনেক সময় পিরিয়ড চলাকালীন তলপেটে ব্যাথা হয়ে থাকে। কারো ক্ষত্রে ব্যাথার পরিমাণ কম কারো ক্ষেত্রে ব্যাথার পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যাথার মাত্রা অনেক বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে ঔষুধের থেকে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। তাহলে আসুন আজ আমরা জেনে নেই কি কি উপায় ব্যবহার করলে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

ল্যাভেন্ডার অয়েল: পিরিয়ডের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মালিশ করুন। ১০- ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে অনেকখানি।

গরম পানির সেঁক: পেটে ব্যথার জায়গায় গরম পানির সেঁক দিতে পারেন। হট ব্যাগের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পেটের ওপর দিতে পারেন। এটি আপনার ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে। এছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসলও করতে পারেন। এটিও আপনার পেটের ব্যথা কমিয়ে কিছুটা স্বস্তি হবে।

আদা: আদা বেশ উপাকারী পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য। আদা চা পান করলে এই সময় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম পানিতে সেদ্ধ করে চাইলে এর সাথে মধু বা চিনি যোগ করে এটি দিনে তিন-চারবার পান করতে পারেন।

পেঁপে: পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকরী। পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খান। কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দেয়।

অ্যালোভেরা রস: অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। পিরিয়ডের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়টি।

কফি এড়িয়ে চলুন: এ সময়টায় কফি-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কফিতে মূলত ক্যাফেইন থাকে যা রক্তনালীসমূহকে উত্তেজিত করে তোলে। এবং এটি পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।

প্রচুর পানি এবং পানীয় জাতীয় খাবার খান: দেহের শুষ্কতারোধে প্রচুর পরিমাণ পানি এবং পানিজাতীয় খাবার খান। কেননা এই সময়টায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়।

এছাড়া এই সময় ভিটামিন এবং মিনারেল-জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মিনারেল। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন।