অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অস্ত্র সরবরাহকারী ভোলাসহ ৩ জন ৩ দিনের রিমাণ্ডে

0
CTG VULA-
মিতু হত্যায় গ্রেফতার হওয়া মনিরের সাথে ভোলা।

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলা, সাঈদুল ইসলাম প্রকাশ সাকু এবং শাহজাহানকে ৩ দিনের রিমা-ে নিয়েছে পুলিশ।

রবিববার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুন অর রশিদ তাদের তিনদিনের রিমা- মঞ্জুর করেন। এর আগে মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমা-ের আবেদন জানায়।

সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ভোলাসহ ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমা-ের আবেদন জানিয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আজ শুনানি শেষে আদালত ৩ জনকে তিনদিন রিমা- মঞ্জুর করেছেন।

উল্লেখ্য গত ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি এলাকার ও আর নিজাম রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে মিতুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুইদিন পর বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকা-ের ২১ দিন পর ২৬ জুন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, মুছার নেতৃত্বে মাহমুদা হত্যাকা- ঘটে। এতে ৭-৮ জন অংশ নেন।

হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার ২৬ জুন চট্টগ্রাম আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তাঁরা উল্লেখ করেন, হত্যাকা-ে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো. রাশেদ, নবী, মো. শাহজাহান, কামরুল সিকদার ওরফে মুছা ও মো. কালু অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। ভোলা অস্ত্র সরবরাহ করেন। জবানবন্দিতে হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার হওয়া মাজারের খাদেম আবু নছরের নাম আসেনি।

এদিকে পুলিশের অনুসন্ধানে মিতু হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র নগরীর বক্সিরহাট স্বোচ্ছাসেবক লীগ নেতা এহতেশামুল হক ভোলা সরবরাহ করেছিল বলে তথ্য পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ২৮ জুন ভোলাকে গ্রেফতারের কথা পুলিশ স্বীকার করে। এর আগে ২৪ জুন শাহজাহান ও সাকুকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।

পুলিশ দাবী করেন, শাহজাহান মিতুর কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল এবং সাকু হত্যাকাণ্ডে জড়িত মুছার ভাই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মুছাকে পুলিশ আটক করলেও পুলিশ দাবী করছে তারা মুছাকে আটক করেনি।

আসামিদের মধ্যে নবী ও রাশেদ ৫ জুলাই ভোরে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।