অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বইমেলায় মঈন ফারুক এর কবিতাগ্রন্থ ‘এ শহরের মানুষ হাঁটে না রাস্তা হাঁটে’

1
.

একুশে বইমেলা মানেই লেখক ও পাঠকের একটি বাড়তি আনন্দ, বাড়তি উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমী প্রতিবার সাজে নতুনরূপে। বসে হাজার হাজার বইপ্রেমির মিলনমেলা। এই মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত হয় অসংখ্য লেখকের বই।

এবারের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে মঈন ফারুক এর নতুন কবিতাগ্রন্থ। সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রতিভা প্রকাশ থেকে প্রকাশ পাচ্ছে গ্রন্থটি। এবারের একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৪৯৪ ও ৪৯৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী থেকে।

‘এ শহরের মানুষ হাঁটে না রাস্তা হাঁটে’ লেখকের চতুর্থ কবিতাগ্রন্থ। গত গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় ‘অশ্রু গোলাপজলের মতোই সুঘ্রাণ’ বেশ পাঠক সমাদৃত হয়। এ গ্রন্থটিও নতুন এক চমক নিয়ে আসছে পাঠকের মনকে নাড়া দিতে। সময়সচেতন ভাবনায় কবিতাগুলো অন্যরকম প্রাণ পেয়েছে। জীবনবোধের এক সম্মোহনী বিবরণ কবিতার পরতে পরতে। আশা করা যায়, তার এ কবিতাগ্রন্থের মাধ্যমে কবিকে নতুনভাবে চিনবে। সেই সাথে কবিতায় ভীন্নমাত্রার আভাস ও ব্যাঞ্জনায় পাঠককে পূর্ণমাত্রায় আলোড়িত করবে। পূরণ করবে পাঠকের দাবীও।

এ কবিতাগ্রন্থের ফ্ল্যাপ লিখেছেন কবি হাফিজ রশিদ খান। সেখানে তিনি বলেন, ফ্রি-ভার্সের ভেতরে সকল ছন্দশৃঙ্খল ভাঙার বিপজ্জনক আবেগ ও বেগ থাকে, মঈন ফারুকও ওই ঝুঁকি নিয়েছেন। ব্যক্তিতার ডানায় ভাসবার এ তরিকা এখন প্রায় তরুণ কবিদের মধ্যে সুলক্ষিত। তারা পুরাণ পুরাতন প্রচল সব ডিঙোতে চান। বিষয়টি এত প্রাতিস্বিক যে, কোন অর্গল ঝুলাতে চাইলেও মন চাইবে না কারো। তবে কথা ওই একটাই, কবিকে তার বোধের জিঞ্জীর নিজেকেই ভাঙতে হয়, এমন কি তা ফ্রি-ভার্সের মহাপ্রাচীর ভাঙা শক্তিমত্তা থাকা সত্ত্বেও। উপলব্ধির আত্মতা আর জ্ঞানকাণ্ডে লিপ্ততা কবিকেও বসিয়ে রাখে জনকোলাহলের ধারে, কাঙালের বেশে। মঈন ফারুক এর কাব্যিক আবাহনে সেই ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তার বীক্ষণের দৌলত সে-কথা বলছে।

১ টি মন্তব্য
  1. মঈন ফারুক বলেছেন

    শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।