চবিতে ছাত্রলীগের গাড়ি ভাঙচুর, মামলার আসামী অজ্ঞাতনামা!
প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিততিতে গাড়ী ভাঙচুর এবং তান্ডবলীলা চালিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে চবি ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী সন্ত্রাসীরা। আর চবি কর্তৃপক্ষ মামলা আসামী উল্লেখ্য করেছে আজ্ঞাতনামা হিসেবে!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগের দাবীতে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধের চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে জেলার হাটহাজারী থানায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগের কাউকে আসামী না করে উল্লেখ করা হয়েছে অজ্ঞাত নামা আসামী। এতে কোন শিক্ষার্থী বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও উল্লেখ করা হয়নি।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে হাটহাজারি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মামলা দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি আবাসিক হলে পুলিশী তল্লাশী ও ১২ কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগ দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মেয়র নাছির অনুসারী গ্রুপ।
এসময় তারা ক্যাম্পাস জুড়ে ব্যাপক তান্ডব চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে হামলা,ভাঙচুর, সাংবাদিকদের মারধর, ১৪ টি গাড়ী ভাঙচুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি ভবনে হামলা করে অবরোধকারীরা।
আসামী অজ্ঞাত, সত্যি তেলেস মাতি বুঝা দায়।
মামলার আসামীরা সবাই শিবির করে।
ছাত্রদল বা বিএনপির কোন সংগঠন যদি গাড়ি ভাঙচুর করে তাহলে হুকুমের আসামি হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন এর নামে মামলা হয়। আর ছাত্রলীগ তো আওয়ামীলীগের একটি সংগঠন তাহলে আওমীলীগ এর সভা নেত্রীর নামে কেন মামলা হল না? আবার নাকি আইন সবার জন্য সমান।
আইন পশাসন কি নিজের গতিতে চলছে?ওনারা পজাতনতের বেতন ভূওু সুশাসন ও ন্যায় বিচার পতিষটা করার শপদ নিয়ে যদি এরকম হয় তাহলে আমজনতা কোথয় যাব? কোন সময়ে এসে আমরা কি করছি সেটাও বুঝার দরকার।