অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম বন্দরের মাদক অস্ত্র ও বিস্ফোরকের সন্ধানে বিশেষ অভিযান “আইরিন”

0
CTG PORT-3
বন্দরে প্রতিটি শেড়ে তিনভাগে বিভক্ত হয়ে ৩টি ডগ স্কোয়াড় দল অভিযান চালাচ্ছে। ছবি: সময় টিভি

অবৈধ পণ্য আমদানী রোধ এবং পণ্যের আড়ালে কোন ধরণের অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদক যাতে বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশকরতে না পারে তার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে শুরু হয়েছে দুই দিনের বিশেষ অভিযান “অপারেশন আইরিন”। বিশ্বের ৩৩ টি দেশের বন্দরে আজ সোমবার থেকে এ অভিযান এক যোগে শুরু হয়েছে বলে জানান, অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা।

সোমবার সকাল ১১টা চট্টগ্রাম বন্দরের ৮ নম্বর শেড থেকে এ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তিনটি কুকুর দিয়ে আলাদাভাবে ৩টি ইউনিট এ অভিযান চালানো হচ্ছে। ইউনিটগুলো হচ্ছে মাদক, বিস্ফোরক, অস্ত্র ইউনিট। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তিন কুকুর তিন বিষয়ে অভিজ্ঞ বলে জানান শুল্ক কর্মকর্তারা।

CTG PORT-4বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য (এডমিন এন্ড প্লানিং) জাফর আলম জানায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অভিযানের মূল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া বন্দর, কাস্টমস বিজিবি এবং বন্দরে নিয়োজিত সেনা সদস্যরাসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থা অভিযানে সহায়তা করছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদ জানান, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৩টি দেশের ‘রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজোঁ অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ (রাইলো এপি) এ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে।

CTG PORT-2
অভিযানে অংশ নেয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড। ছবি: সময় টিভি

রাইলো’র সদস্য হিসেবে বাংলাদেশেও চলছে বিশেষ অপারেশন ‘আইরিন’। মূলত দেশের বিমান, স্থল, নৌ বন্দরগুলোতে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত ৮ জুলাই থেকে বাংলাদেশে এ অভিযান শুরু হলেরও আজ থেকে বন্দর সমূহে এক যোগে এ অভিযান চলছে।

তবে অভিযানে দুপুর পর্যন্ত বন্দরের বিভিন্ন শেড়ে তল্লাশী চালিয়েও কোন ধরণের অবৈধ পণ্য সনাক্ত করা যায়নি।