অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গণশুনানিতে হাসপাতাল কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ

0
.

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের  গণশুনানিতে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভূক্তভোগীরা।

কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সেবা নিতে আসা রোগি ও রোগির স্বজনদের শারিরীক লাঞ্ছনা,ঘুষ,রোগীদের চিকিৎসায় অবহেলাসহ সর্বমোট ১৫টি অভিযোগে অনৈতিক ‍দিকগুলো তুলে ধরেন ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের অভিভাবকরা।

এসময় বাঁশখালীর কালীপুর থেকে আসা অসুস্থ মেয়েটির মা নাসিমা বেগম তার অভিযোগে জানান,‘আমাকে চুল ধরে বের করে দেবেন বলেছেন ওয়ার্ডের আয়া। বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। খুব অপমানিত হয়েছি। আমি শুধু অব্যবহৃত স্যালাইন দোকানে ফেরত দেওয়া যাবে কিনা জানতে চেয়েছিলাম।

হাসপাতালের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যদি মেয়ে কিছুটা সুস্থ হতো এখনই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতাম।’

এ সময় হাসপাতাল পরিচালক বি. জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন ও বিভাগীয় প্রধানসহ দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন। তারা তাৎক্ষণিকভাবে ওই আয়াকে চিহ্নিত করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

একজন নারী অভিযোগ করেন দালালদের দৌরাত্ম্য উদ্বেগজনকহারে বেড়ে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, রক্ত সংগ্রহ ও ওষুধপত্র কেনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে দালালদের হাতে রোগীরা জিম্মি হয়ে পড়ছেন।

এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আমরাও দালাল নির্মূলের চেষ্টা করছি। আমাদের নিরাপত্তাকর্মী সংকট আছে। তবুও আমরা পুলিশ ও আনসারের সহায়তা নিচ্ছি। একা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দালালমুক্ত করতে পারবে না। তাই রোগীর স্বজন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, চসিক, সাংবাদিক সবাইকে সচেতন হতে হবে, দালালদের প্রতিরোধ করতে হবে।

তিনজন কিডনি রোগী উদ্বেগ জানিয়েছেন ৪২০ টাকায় প্রতি সেশন ডায়ালাইসিসের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা শুনে।

তাদের উদ্দেশে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে চমেকে।যেখানে ১০ হাজার সেশন আমরা ৪২০ টাকায় দিতে পারছি। এ ছাড়া কিডনি ওয়ার্ডে পুরোনো নয়টি ডায়ালাইসিস মেশিনও সচল আছে। ফ্রি সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরি মেনে চলতে হয়।আমাদের সীমাবদ্ধতা ১০ হাজার হলেও বর্তমানে ১৩ হাজারেরও বেশি রেজিষ্ট্রাট কৃত হয়েছে, তারপরেও আমরা চেষ্টা করব সর্বোচ্চ সংখ্যক সেশন কম ফি’তে দিতে।

চমেক হাসাপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ আখতারুল ইসলাম বলেন, মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এ গণশুনানির আয়োজন। অভিযোগকারীদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের কাছে রোগীদের স্বার্থ সর্বাগ্রে। আমরা তিনটি অভিযোগ বাক্সও রেখেছি।আরোও ৫টি অভিযোগ বাক্সও বসানো হবে,  সেখানেও অভিযোগ দেওয়া যাবে।এছড়াও প্রতি বুধবার গণ শুনানির অায়োজন করা হবে।

তিনি জানান, চমেকের সেবা নিয়ে আগামী ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় দুদকের গণশুনানি হবে। এর আগে দুদক মহাপরিচালক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।