সীতাকুণ্ডে স্ত্রীকে হত্যার পর পুলিশের সোর্স স্বামী পালিয়ে গেছে
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩৫)কে হত্যার পর ঘরের বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে স্বামী। আজ সোমবার (৫ মার্চ) দুপুরে পুলিশ বাসার তালা ভেঙ্গে জাহানারার লাশ উদ্ধার করেছে। উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফকিরহাট পন্থিশাহ মাজারের সামনে ইউসুফ হাজীর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। পলাতক স্বামী মোশাররফ হোসেন বার আ্উলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করলেও মূলত সে ইয়াবা ব্যবসায়ি বলে স্থানীয়রা জানান।
ঘটনাস্থল থেকে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, স্থানীয়দের খবরের ভিক্তিতে বাসার তালা ভেঙ্গে এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। মহিলার সারা শরীরের আঘাতে চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ব্যাপক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করবো।
এদিকে সীতাকুণ্ড সার্কেলের এএসপি শম্পা রানী দাশ ও সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত জাহানারার মেয়ে মোরশেদা আক্তার (১৩) এবং ছেলে রাকিব (১২) জানায়, আমার বাবা পুলিশের সোর্স, সে সবসময় নেশা করে আমার আম্মাকে মারধর করতো। গত রাতে মাকে প্রচন্ড মারধর করে। মোরশেদা বলে, গতকাল দুপুর থেকেই মাকে মারতে থাকে বাবা, আমি বিষয়টি জানানোর জন্য পাক্কা মাথা এলাকায় আমার খালা, চাচাদের বাসায় যাই। সকালে বাসায় এসে দেখি রুম তালা দেওয়া। ছোট ছেলে রাকিব জানায়, রাতে বাবা আমার মাকে প্রচন্ড মারধর করে। মা মারা গেলে গায়ে কম্বল দিয়ে ভোর বেলা বাবা আমাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমাকে এবং আমার আরেক ছোট ভাইকে আমার দাদার বাড়ি রেখে বাবা কোথাই চলে গেছে জানি না।
স্থানীয়রা জানান, গত মাসের ২০ তারিখ মোশাররফ স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠে। এর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রীকে মারধর করতো।তার নির্দ্দিষ্ট কোন কাজ ছিল না। এলাকায় সে নিজেকে বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিতো।
মোশাররফ হোসেনের বাড়ী সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে বলে জানায় পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
details ney
ডিটেলস দেয়া হয়েছে। ক্লিক করে দেখো।