অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বেড়াতে এসে প্রথমেই কী লক্ষ্য করেন অতিথিরা?

0

আত্মিয়র বাড়ীতে অতিথির আগমন এবং তাদের আপ্যায়ন সামাজিকতারই অংশ। বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে বাড়িতে মেহমান সমাগম তো ঘটেই, নিখাদ আড্ডাবাজি কিংবা দেখা-সাক্ষাতের জন্যেও নিজের বাড়িকেই আরামদায়ক মনে করেন অনেকে।

মেহমান তো দাওয়াত করলেন, আপ্যায়নের জন্য অনেক আয়োজনও করলেন। কিন্তু জানেন কী এই খাবার-দাবারের চাইতেও বেশি কোন ব্যাপারগুলো মেহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে? হ্যাঁ, এমন কিছু জরুরি ব্যাপার অবশ্যই আছে যেগুলো আমরাও অন্য কারো বাড়িতে গেলে সবার আগে লক্ষ্য করি, কিন্তু নিজের ঘরে খেয়াল রাখতে ভুলে যাই। আজ জেনে নিন, বাড়িতে মেহমান এলে কোন ব্যাপারগুলো তারা সবার আগে লক্ষ্য করেন, অর্থাৎ কোনদিকে আপনাকে সবচাইতে বেশি খেয়াল রাখতে হবে।

সুন্দর সদর দরজা: বাড়িতে প্রবেশের মুখেই যদি হোঁচট খেতে হয়, তাহলে শুরুতেই একটা নেগেটিভ ধারণা তৈরি হয় মনে। সদর দরজার চারপাশে রাখুন পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ডোর ম্যাট ব্যবহার করুন, সম্ভব হলে একটি দুটি গাছ রাখুন, সিঁড়িগুলো যেন পরিষ্কার থাকে সব সময়ে খেয়াল রাখুন। ভাড়া বাড়িতে থাকলেও পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনার।

পরিচ্ছন্নতা: কেবল দামি দামি আসবাব দিয়ে ঠেসে রাখলেই হবে না। ঘরদোর হওয়া চাই পরিষ্কার। ধুলো ঝেড়ে রাখুন, মেঝে পরিষ্কার রাখুন, সুন্দর ও পরিষ্কার পর্দা ব্যবহার করুন, দেয়ালের ঝুল পরিষ্কার করুন। ও হ্যাঁ, বাড়িতে যেন কোন বাজে গন্ধ না থাকে,সেটাও খেয়াল করুন।

পরিপাটি ঘরদোর: নিজের ঘরে অগোছালো মানুষটিও অন্যের বাড়িতে গেলে প্রথমেই দেখেন যে সবকিছু সাজানো-গোছানো কিনা। পরিপাটি ঘরদোর নিঃসন্দেহে বাসিন্দাদের রুচির পরিচয় দিয়ে থাকে। ঘরে অনেককিছু দিয়ে জবড়জং না করে সীমিত আসবাব রাখুন, প্রতিটি জিনিস গুছিয়ে রাখুন। দেখবেন, মেহমান খুবই তারিফ করছেন।

আপ্যায়নে আন্তরিকতা: আপ্যায়ন ভালো করার অর্থ কেবল অনেক রকমের খাবার টেবিলে সাজিয়ে দেওয়া নয়। বরং কতটা আন্তরিকতার সাথে আপনি আচরণ করছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের পরিমাণের চাইতে পরিবেশনের ধরনটাই জরুরি। মেহমান আসার পর পানি বা শরবত পরিবেশন, পরিষ্কার ও গোছানো খাবার টেবিল, সবচাইতে ভালো থালা-বাসনে পরিবেশন, ন্যাপকিন বা টিস্যু পরিবেশনে কিপটামি না করা ইত্যাদি দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

বাথরুম: পরিষ্কার বাথরুম নিঃসন্দেহে গৃহের বাসিন্দাদের রুচির পরিচায়ক। আপনার ঘরদোর যতই পরিষ্কার হোক না কেন, বাথরুম জানিয়ে দেয় আদতে আপনার জীবনযাপন কেমন। তাই মেহমান আসুক বা না আসুক, বাথরুম থাকা চাই সবসময়ে পরিষ্কার।

ফুল: এই ব্যাপারটা বাড়তি, ফুল রাখতেই হবে এমন কোনও কথা নেই। কিন্তু গৃহে প্রবেশের পর ফুল বা সবুজ গাছপালা চোখে পড়লে তা মনের ওপরে ভালো একটি প্রভাব ফেলে, যা সময়কে আনন্দদায়ক করে তোলে। মনে মনে মেহমানও আপনার রুচির তারিফ করবেন, যদি ঘরে রাখতে পারেন তাজা ফুল। ও হ্যাঁ, মরা ফুল সরিয়ে ফেলতে কিন্তু ভুলবেন না মোটেও।

ঘরদোরই আপনার রুচির পরিচায়ক, কারণ এতে প্রতিফলিত হয় আপনার মানসিকতা। বিশাল বড় বাড়ির প্রয়োজন নেই, ছোট গৃহকোণেই নিজের রুচির ছাপ রাখা সম্ভব। গুছিয়ে রাখুন, তাতেই সবার মন জয় করতে পারবেন।