অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবিতে অবরোধ চলাকালে ছাত্রলীগের হামলা ২ পুলিশসহ আহত ৫

0
Screenshot_2
ছাত্রলীগের হামলার কারণে চবিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের ডাকা অবরোধ চলাকালে শাটল ট্রেনে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের একদল কর্মী। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশন পার হওয়ার পর চবিগামী শাটল ট্রেনটিতে হামলার ঘটনা ঘটে।

অবরোধকারী পদবঞ্চিতরা সবাই নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। তবে একই সময়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী পদবঞ্চিতরা ক্যাম্পাসের সকল পরিবহন আটকে দেয়। ফলে সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক ও কর্মকর্তা বাস নগরে আসতে পারেনি। হামলায় আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন ষোলশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন, কনস্টেবল রকিবুল ইসলাম, শাটল ট্রেনের চালক ওবায়দুজ্জামান। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে বাস চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।

BSL-
চবিতে ছাত্রলীগের হামলা থামাতে পুলিশের অবস্থান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চবির সদ্যঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা আজ সকাল থেকে অবরোধ শুরু করেন। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ষোলশহর স্টেশন পার হচ্ছিল। ওই সময় ২০-২৫ শিক্ষার্থী ট্রেনকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পাঁচজন আহত হন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিমাংশু দাস রানা জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনকে প্রথমে ঝাউতলা স্টেশনে বাধা দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ বাধা কাটিয়ে ষোলশহর স্টেশন ছেড়ে বন গবেষণাগার এলাকায় পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা ট্রেনে হামলা চালায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. কামরুল হুদা জানান, কিছু শিক্ষার্থী অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিলেও সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। তবে শাটল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা শহর থেকে আসতে পারেননি।