অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কুসুম্বা মসজিদ, নওগাঁ

0

নওগাঁ জেলার অন্যতম প্রধান গৌরবোজ্জ্বল অতীতের স্মৃতিবাহী মান্দা উপজেলার ‘কুসুম্বা শাহী মসজিদ’। প্রায় সাড়ে চারশ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে নওগাঁর ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদ। যা বর্তমানে পাঁচ টাকার নোটে মুদ্রিত। মান্দা-রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা ব্রিজের পশ্চিম দিকে ৪০০ মিটার উত্তরে ঐতিহাসিক এ কুসুম্বা মসজিদ অবস্থিত। প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থী আসেন এই মসজিদটি দেখার জন্য।


কুসুম্বা মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে ৫৮ ফুট লম্বা, চওড়া ৪২ ফুট। চারদিকের দেয়াল ৬ ফুট পুরু করে তৈরি। তার উপর বাইরের অংশে পাথর দিয়ে ঢেকে দেয়া। মসজিদের সম্মুখভাগে রয়েছে ৩টি দরজা। আকারে ২টি বড়, অন্যটি অপেক্ষাকৃত ছোট। দরজাগুলো খিলানযুক্ত মেহরাব আকৃতির। মসজিদের চার কোনায় রয়েছে ৪টি মিনার। মিনারগুলো মসজিদের দেয়াল পর্যন্ত উঁচু ও আট কোনাকার। ছাদের উপর রয়েছে মোট ৬টি গুম্বুজ। যা দুইটি সারিতে তৈরি। দ্বিতীয় সারির গম্বুজগুলো আকৃতির দিক দিয়ে ছোট।

নিপুণ কারুকার্য আর অপূর্ব কীর্তি মসজিদটি দেখতে আসেন প্রতিদিন প্রায় শতাধিক নারী ও পুরুষ। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্যপ্রেমীরা আসেন এই কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করতে বা বনভোজনে। দর্শনার্থীরা কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যান প্রাক মুসলিম আমলের এই প্রাচীন কীর্তির মাঝে।

কুসুম্বা মসজিদে খাদেম মফিজ উদ্দিন মোয়াজ্জেম মোস্তফা আলামীন ও ওবায়দুল ইসলামসহ পাঁচজন সব সময় নিয়োজিত রয়েছেন। যাতে করে দর্শনার্থীদের কোনো সমস্যা না হয়। মসজিদটি সম্পূর্ণ গ্রানাইড পাথর দিয়ে তৈরি। এ মসজিদটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৫৬ বছর।

মুসল্লিদের সুযোগ-সুবিধার জন্য ওজু ও গোসলের জন্য লেক খনন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের আকর্ষণীয় করার জন্য পিকনিক স্পট ও দূরের দর্শনার্থীদের থাকার জন্য রেস্ট হাউজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

সম্প্রতি মসজিদের পশ্চিম পাশে ক্ষুদ্র পরিসরে একটি বিনোদন স্পট নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং স্পটটি সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।