চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি: আহত ৩
বুধবার মধ্য রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)তে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সদ্য ঘোষিত চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পাওয়া এবং নাপাওয়া দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংর্ঘষ হয়েছে। সংর্ঘষে অন্তত তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রলীগ নেতাকে আশঙ্খাজনকবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আলমগীর টিপু ক্যাম্পাসে গেলে তার নেতৃত্বে মধ্য রাতে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে নতুন কমিটির নেতা কর্মীরা।
এসময় কমিতে স্থান না পাওয়া নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল এলাকায় অবস্থান নেন। পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষ। এবং দুই পক্ষই ব্যাপক গুলি চালায়। এক ঘন্টায় অন্তত ৩৬ রাউণ্ড গুলি ছুঁড়ে উভয়ে।
সংর্ঘষে ছাত্রলীগ নেতা আবিরসহ তিনজন আহত হন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
চবি ক্যাম্পাস পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোকাদ্দেস হোসেন সংর্ঘষ এবং গোলাগুলির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের খবর পেলেও আমরা যেতে পারিনি। আমাদের পুলিশ কম থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারছিরা। তবে ওর্য়ালেসে আমরা হাটহাজারী থানাকে জানানোর অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এর আগে গত সোমবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ছবি ছাত্রলীগের একটি অংশ কমিটির নেতাদের খুনি, চাঁদাবাজ এবং টেণ্ডারবাজ আখ্যায়িত করে তাদের বাদ দিয়ে ক্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি ঘোষণা দাবী জানিয়ে আসছে। একই সাথে তারা ছবি প্রবেশ পথে তালা দেয় সোমবার। গতকাল মধ্যবার থেকে তারা চবিতে লাগাতার অবরোধ শুরু করে। এদিন ক্যাম্পাসে ভাংচুর এবং শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় ২ পুলিশ ও শাটল ট্রেনের এক চালকসহ ৫ জন আহত হয়।