অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলেই বুঝবেন দেউলিয়া কারা হয়েছে

2
.

দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী চট্টগ্রামে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকার জনগণকে তারা ভয় পায়। এর কারণে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষে সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনের বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহমদ সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে। প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট চেয়ে জনসভা করছে, আর আমাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না। তাদের ভয় জনগণ রাস্তায় নামলে তাদের রক্ষা হবে না।

যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি দেউলিয়া হয় নাই বরং আ’লীগই দেউলিয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলেই বুঝবেন দেউলিয়া কারা হয়েছে।

.

বেগম জিয়াকে গনতন্ত্রের মা উল্লেখ করে তিনি বলেন গত ৩৫ বছর ধরে বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। দুর্নীতির মিথ্যা মামলা দিয়ে আজকে তাঁকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে সরকার।

মানুষের যে গণতান্ত্রিক অধিকার আছে, সেগুলোকে সরকার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না উল্লেখ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্যাতন-নিপীড়ন করে সরকার বিরোধী দলকে দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাইছে। তিনি বলেন, এদেশে বেগম জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন হবে দেয়া হবে না। সরকার শত শত কোটি টাকা দুর্নীাত এবং লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। এর জবাব জনগণ দেবে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। সরকার মনে করেছিল খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করলে বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু গ্রেফতারের পর বিএনপি দুর্বল হয়নি বরং আরো অনেক শক্তিশালি হয়েছে।

তিনি বলেন,গত ১/১১ এর সময় সংস্কার পন্থিও কথা বলে বিএনপি বিভক্ত করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। বেগম খালেদার জিয়া এখন দেশ মাতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেথ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে নগরীর লালদীঘি মাঠে জনসভা করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেন নগর বিএনপি। সেখানে অনুমিত না দিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে কড়া পুলিশি বেষ্টনিতে জনসভা করার অনুমতি পায় বিএনপি। আগের দিন রাত থেকে নগর জুড়ে পুলিশের ব্যাপক ধর পাকড়ের পরেও নেতাকর্মীদের ঢল নামে জনসভায়।

সদ্য কারামুক্ত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, ড. মঈন খান, মির্জা মো. আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, মীর মো. নাছির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, মো. শাহজাহান,  গোলাম আকবর খোন্দকার, মাহবুবুর রহমান শামীম নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ানসহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিন জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।

২ মন্তব্য
  1. Ayaar Muhammad বলেছেন

    এভাবে বারবার ভয় দেখালে আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবেই না!

  2. Mohammed Abdul Mannant বলেছেন

    মির্জা ফখরুলের সাথে একমত