অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঘরের সৌন্দর্যে বাহারি কুশন

0

কুশন চেয়ারের এক কোণে পড়ে থাকার যুগ শেষ। বিছানায় বা ঘরের কোণে সাজিয়ে রাখতে পারেন বাহারি সব কুশন। শুধু কুশন দিয়েই এখন ঘরের চেহারায় আনা যায় নতুনত্ব।

কুশন সাজিয়ে রাখার পরিবেশনাতেও যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন ঢং। বড় সোফা হোক বা নিচু, ঘরে ডিভান-শতরঞ্জি, যা-ই রাখা হোক, কুশন থাকবেই।

জেনে নেয়া যাক ঘরের সাজে কুশনের ব্যবহার সম্পর্কে-

বসার ঘর:
মাঝারি আকারের বসার ঘরে শুধু সোফা আর চেয়ার রাখার সুযোগ থাকে। এমন ঘরে শুধু সোফাতেই কুশন রাখতে পারবেন। সোফার আকার-নকশা অনুযায়ী কুশন ও এর কাভার বেছে নিন। বেত, কাঠ বা বাঁশের তৈরি সোফা থাকলে দেশজ নকশার কুশন কভার বেশ লাগে। গ্রামীণ চেক, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, কাঁথা স্টিচ বা অ্যাপ্লিক বেছে নিতে পারেন। কুশিকাটার কাজ করা থাকলেও ভালো দেখাবে। পর্দা ও অন্যান্য আসবাবের দিকেও খেয়াল রাখুন কুশন কাভার বেছে নেওয়ার সময়।

শোয়ার ঘর:
শোয়ার ঘরে বালিশের সামনে কুশন রাখতে পারেন বা বালিশ ছাড়াই শুধু কুশন ব্যবহার করতে পারেন। অনেক দেশেই শোয়ার ঘরে বালিশের পরিবর্তে শুধু কুশন রাখার প্রচলন রয়েছে। বালিশ না রাখলে অবশ্যই ভালো মানের কুশন ও কাভার ব্যবহার করা উচিত।

ভালো মানের দেশীয় সুতি কাপড় কিংবা চায়নিজ বা জাপানিজ কাপড়ের কুশন কিনতে পারেন। বালিশ থাকলে এর কভারের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কুশনের আবরণ বেছে নিন। একটু হালকা রঙের কাপড়ই এই ঘরটার জন্য ভালো।

শিশুর ঘর:
শিশুর ঘরে কুশন কভার রাখলে ওর মানসিকতার দিকে লক্ষ রেখে সেটি বেছে নিন। প্রজাপতি, টেডি বিয়ার, সিনড্রেলা বা ফুটবলের নকশায় তৈরি কুশন কভার হতে পারে ওদের পছন্দসই। বিছানায় তো রাখতেই পারেন, শিশুর ঘরে ডিভান থাকলে সেখানেও এমন কুশন রাখা যায়। এই ঘরের জন্য একটু গাঢ় রঙের কাপড় বেছে নেওয়া ভালো, নইলে সহজেই নোংরা হয়ে যেতে পারে।