অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে বাংলাদেশের পাশেই আছি: হাসিনাকে মোদী

0
160721175728_icp_launch_india_bangladesh_640x360_pibindia
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেণ্সে কথা বলছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী।

বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাতে ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে নরেন্দ্র মোদী আজ শেখ হাসিনাকে এক বার্তা দিয়েছেন।

সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশকে যাবতীয় সহায়তা করারও আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে নতুন সমন্বিত চেক পোস্ট বা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট উদ্বোধনের সময়ে মি. মোদী এই বার্তা দেন।

মি. মোদী দিল্লি থেকে, শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কলকাতায় তাঁর দপ্তর থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন।

ঢাকা আর কিশোরগঞ্জে দুটি সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে মি. মোদী বলেন, “ওই দুটো ঘটনাতেই আমি আর আমার দেশবাসী খুবই ব্যথিত।“

মি. মোদী বলেন, “মনে করবেন না এই লড়াইতে আপনারা একা। ভারতের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আপনাদের দেশের প্রতি।“

পেট্রাপোল বেনাপোল স্থলবন্দরটি এশিয়ার সবথেকে বড় স্থলবন্দর। ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৫০% এই বন্দর দিয়েই হয়ে থাকে।

pm-1
ভিডিও কনর্ফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ মোদী।

এর আগে ত্রিপুরা সীমান্তে আগরতলা-আখাউড়াতেও এরকম একটি সমন্বিত চেক পোস্ট তৈরি হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তে আরও কয়েকটি সমন্বিত চেকপোস্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

ওই সীমান্তে সমন্বিত চেক পোস্টের বিষয়ে শেখ হাসিনা তাঁর বার্তায় বলেন, “আমরা দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকবেই। নতুন এই চেকপোস্টের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।“

মি. মোদী জানান যে এটা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা যেমন বাড়াবে, তেমনই যোগাযোগেরও উন্নতি করবে।

“ভারতের উন্নতি তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত,” মন্তব্য মি. মোদীর।

বেনাপোল পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন আর দেড় লক্ষ ট্রাক পারাপার করে।

নতুন সমন্বিত চেকপোস্টে নিরাপত্তামূলক পরীক্ষা, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ইত্যাদির উন্নততর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে যাতে মানুষ আর যান চলাচল আরও সচ্ছন্দে হতে পারে।

বলা হচ্ছে মানুষ আর গাড়ি পারাপার করতে আগের থেকে অনেক কম সময় লাগবে, আর তাতে খরচও বাঁচবে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানান যে পেট্রাপোলের জন্য একটি নতুন থানা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে তাঁর সরকার।

সুত্র: বিবিসি বাংলা