অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাঙামাটি রাবি-প্রবি’র কম্পিউটার শ্রেণী কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা

0
.

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
শিক্ষাজীবনের দুইটি বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অদ্যবদি পর্যন্ত ল্যাব কোর্সের সুযোগ পায়নি রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বার বার আশ্বাস প্রদান করেও এখনো পর্যন্ত রাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন না করায় বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণীকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণীকক্ষে অনির্দিষ্ট্যকালের জন্যে তালা লাগানো থাকবে। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন জানাগেছে, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে তিনটি করে ল্যাব কোর্স থাকে। এ

নিয়ে প্রতি সেমিস্টারে ল্যাব এর জন্যে নির্ধারিত ফি পর্যন্ত আদায় করে রাবি-প্রবি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছরেও কর্তৃপক্ষ কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেনি। ফলে প্রথম-দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যাচের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী কম্পিউটার ল্যাবে একটি ক্লাসও করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একের এক আবেদন করা হলেও এর কোনো সুরাহা করেনি কর্তৃপক্ষ।

.

চলতি মাসের প্রথমদিনে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছিলো ১ম, ২য় ও তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এই স্মারকলিপির আলোকে বিভাগীয় প্রধান জুয়েল শিকদার লিখিতভাবেই শিক্ষার্থীদের জানিয়েছিলেন, তিনি এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে বলেছেন। চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে ল্যাব স্থাপন দৃশ্যমান দেখা যাবে। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ২০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু ২০ তারিখ গত হলে কোনো অগ্রগতি দেখতে নাপেয়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা এবার দাবি আদায় না পর্যন্ত তাদের শ্রেণীকক্ষে অনির্দিষ্ট্যকালের জন্যে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এ বিষয়টি জানতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান জুয়েল শিকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে রাবিপ্রবি’র রেজিষ্টার অঞ্জন কুমার চাকমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমতা আমতা করে জানান, হ্যা তালা মেরেছে। এসময় তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে রিং হলেও অপরপ্রান্ত থেকে রিসিভ না করায় বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছরের ৩রা নভেম্বর রাঙামাটি সফরে এসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান রাবিপ্রবি’র প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা বিশেষ করে ল্যাবসহ আনুসঙ্গিক জিনিসপত্র ক্রয়ে আর্থিক ফান্ডের কোনো সমস্যা নেই। তাদের হাতে অর্থ রয়েছে। চেয়ারম্যানের এই আশ্বাসের পরেও অদ্যবদি পর্যন্ত রাঙামাটি রাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ কোনো অগ্রগতি দৃশ্যমান দেখাতে পারেনি।

এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার মাঝেই প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের অনেকাংশ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও তারা এখনো পর্যন্ত ল্যাব কোর্সের কোনো ক্লাস করতে পারছেনা উল্লেখ করে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কয়েকজন প্রতিবেদককে জানালেন, ভাইয়া আমরা এখানে পড়ালেখা করে নির্দিষ্ট্য সময়ের পরে “হাতুরে ডাক্তার” হয়েই হতে হবে।