অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভালো অভ্যাসেই বাড়বে শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা

0

দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, স্ট্রেস এবং জীবনযাপনের ধরন পাল্টে যাওয়ার কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। অনেক অভিভাবকই বিষয়টা নিয়ে বেশ চিন্তিত। কেউ কেউ হয়তো এর মধ্যে বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নিচ্ছেন বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু একটু সচেতন হলেই কিন্তু শিশুদের সুস্থ রাখা যায়। এর জন্য করতে হবে তাদের জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাসের সামান্য রদবদল। এ জন্য দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।

পড়াশোনার চাপ আর না হয় ফ্ল্যাটবাড়িতে বাস করার কারণে শিশুদের খেলার সঙ্গী পাওয়া যায় না। ধুলাবালির মধ্যে ছুটোছুটি করে খেলতে আর শিশুদের দেখা যায় না বললেই চলে। শহরাঞ্চলে যা আরো বেশি। অভিভাবকেরাও অসুস্থ হওয়ার ভয়ে বাচ্চাদের বাইরে খেলতে দেন না।

কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ধুলাবালিতে খেলাটাও জরুরি। তার উপর রোদে খেললে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিও কমে।

শিশুদের সামান্য অসুখ হলেই বাবা-মা এত বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন যে, সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। চিকিৎসক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেন। বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবায়েটিক সেবনে শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুকে যতটা সম্ভব অ্যান্টিবায়েটিক কম খাওয়ান উচিত। ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে রোগের মোকাবিলা করাই ভালো।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পর্যাপ্ত সময় ঘুম খুবই কার্যকরী। শিশুদের অন্তত ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। এর জন্য বাবা-মাকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।

খাবার আগে হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখা, খাবার পর দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করা, নখ পরিষ্কার রাখা এগুলো শিশুকে শেখান।

বাড়িতে বানানো খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করান শিশুকে। জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখুন। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ তাজা সবজি আর ফল খাওয়ান।