অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বেড়িয়ে আসতে পারেন কুয়াকাটায়

0

হয়তো অনেকবার গিয়েছেন। তাতে কি, আবারও যাওয়া যেতে পারে। ভালো লাগায় ভ্রমণের বিকল্প নেই। কাজেই একটা সুযোগ করে ঘুরে আসুন কুয়াকাটা। দেখে আসুন নীরবে নিভৃতে প্রশান্তিদায়ক সুন্দর একটি সমুদ্র সৈকত।

পরিকল্পনা যখন করলেন, তখন কিভাবে যাবেন? আসুন জেনে নেই। লঞ্চে গেলে সবচাইতে ভালো লাগবে। ঢাকা থেকে রাত ৮.৩০ মিনিটে ৩/৪ টি লঞ্চ বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ভাড়া ডেক ২০০ টাকা, কেবিন ৯০০/১৭০০ টাকা (সিঙ্গেল/ডাবল)।

পরদিন খুব ভোরে বরিশালে নেমে সাথে সাথে লঞ্চঘাটের ঠিক বাইরে দাঁড়ানো বাসের টিকিট কাটুন। এই বাসগুলো সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ভাড়া ২০০ টাকা। টিকেট কেটে নাস্তা করে নিন। এরপর বাসে উঠে বসুন। সময় লাগবে প্রায় চার ঘণ্টা। রাস্তা খুবই ভালো। এই রাস্তা দিয়ে গেলে লেবুখালী ফেরি পার হতে হবে। তবে ফেরিমুক্তভাবে যদি যেতে চান তবে পটুয়াখালী হয়ে যেতে পারেন। আবার পটুয়াখালী হয়ে যেতে চাইলে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় পটুয়াখালীর লঞ্চ। এতে উঠে সকালে পটুয়াখালী নেমে বাসে যেতে পারেন কুয়াকাটা। ভাড়া নেবে ১৫০ টাকা।

এছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি বাসেও কুয়াকাটা যাওয়া যায়। গাবতলী/কল্যাণপুর থেকে রাতে সাকুরা পরিবহনসহ বেশক’টি বাস ছেড়ে যায়। পরদিন সকাল ৭টার দিকে কুয়াকাটা পৌঁছায়। ভাড়া ৭০০ টাকা।

বরিশাল-কুয়াকাটার মধ্য ক’দিন আগেও চারটি ফেরি ছিলো। এখন আছে মাত্র একটি, লেবুখালী ফেরি। বাকিগুলো ব্রিজ হয়ে গেছে। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রাস্তায় কোনো ফেরি নেই।

জেনে নিন কোথায় থাকবেন? কুয়াকাটায় পর্যটকদের থাকার জন্য বেশকিছু হোটেল গড়ে উঠেছে। একেবারে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার হোটেলও পাবেন এখানে। নিচের কিছু মানসম্পন্ন হোটেলের ঠিকানা ও ভাড়া দেয়া হলো। আশা করি সবার কাজে লাগবে। হোটেলগুলোর পাবলিশড রেট এখানে দেয়া হলো, তবে কুয়াকাটাতে সারা বছর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই হোটেল নেয়ার সময় দরদাম করে নিন।

পর্যটন বাদে বাকি সবাই বড় বন্ধের সময় ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। তাই যাওয়ার আগে কনফার্ম হয়ে যাবেন ভালো করে। পারলে ফোনের কথা রেকর্ড করে রাখবেন।