অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

0
.

 

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানা এলাকায় ২০১১ সালে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় তিন জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।একই সাথে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক ধরায় তাদের ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক বেগম রোখসানা পারভিন এই রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম সেন্টু ।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী হরিমন্দির এলাকার সুজন ঘোষ, যদু ঘোষ ও সমীর দে। এরমধ্যে সুজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি দু’জন পলাতক রয়েছেন।

জানাগেছে, ২০১১ সালের ৮ জুন নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিন কাট্টলী এলাকায় আসামীরা চন্দনা রানী দাশের যুবতি, মেয়ে পান্না (১৮) কে ধর্ষনের পর পুড়িয়ে হত্যা করে।

একই দিন স্থানীয় দক্ষিণ কাট্টলীর একটি শ্মশান থেকে পান্না রানীর পুড়িয়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়।

পান্না রানী দাশ মীরসরাই উপজেলার বটগাছতল এলাকার ধনরঞ্জন দাশের মেয়ে। তিনি নগরীর পাহাড়তলী বিসিক শিল্প এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

ওই রাতে পান্নাকে দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার বোনের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আসামীরা। পরে তাকে ধর্ষণের পর স্থানীয় হরিমন্দির সংলগ্ন শ্মশান নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হয়।

মামলার বাদী চন্দনা দাশ জানান, ২০১১ সালের ৭ জুন আমার বোন ছোট ভাই রূপন দাশকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যায়।  পরে বাড়ি থেকে এসে শাহাজালাল গার্মেন্টসে চাকুরী করে রাতে বাড়ি ফিরে। আমি দাঁতের ব্যাথার ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।  গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বোন ঘরে নাই।

খোজাখুজি করলে দুই একজন জানান, রাত দেড়টার দিকে দেখেছি বৃৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে।  পরদিন ৮ জুন কাট্টলী হরিমন্দিরের পাশে পোড়ানো অবস্থায় আমার বোনকে পুড়িয়ে ফেলে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের বোন চন্দনা রানী দাশ হত্যা মামলা করেন। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এ মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত রায় দেয়।