অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খাদিজা খাতুন এখন মো. সাহুল সিদ্দিকী

0
.

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার খাদিজা খাতুন সেতু।  সম্প্রতি শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হওয়ায় (নারী থেকে পুরুষ হওয়ায়) বাবা-মা আবার তার নাম রেখেছেন মো. সাহুল সিদ্দিকী।

শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার দক্ষিণ পাড়ায় পুরুষে রূপান্তরের এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় তাকে এক নজর দেখার জন্য এলাকার শত শত নারী পুরুষের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকেও দলবেধে উৎসুক জনতা ছুটে আসছেন সেই বাড়িতে।

জনতার ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী খাদিজার আগের জীবন এবং বদলে যাওয়া জীবন নিয়ে এখন এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহপাঠী প্রথমে সেতুর পুরুষে রূপান্তর হওয়ার বিষয়টি তাকে অবগত করে। বেশ কিছুদিন পর সেতু নিজে তার এই বিষয়টি বাবা-মাকে জানিয়ে দেয়।

খাদিজার বাবা হাসমত আলী জানান, স্থানীয় স্কুল-কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে মেয়ে খাদিজা খাতুন সেতু (১৯)। বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ালেখা করছে।

সেতুর মা নাজমা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে সেতুর শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে এবং নারী থেকে পুরুষে রূপান্তর হয়েছে। একই সাথে তার জীবন-যাপন ও আচরণগত পরিবর্তন এসেছে। রূপান্তরিত খাদিজা খাতুন সেতুর নাম রাখা হয়েছে মো. সাহুল সিদ্দিকী।

নিজের রূপান্তরের বিষয়ে সাহুল সিদ্দিকী জানান, ৩০ মার্চ রাতে ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ তার শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। পরে বাবা-মা ও নিকট আত্মীয়দের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন সাহুল। হরমন বিষয়ক চিকিৎসকের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এহিয়া কামাল বলেন, হরমনের কারণে এরকম দৈহিক পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।