অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খাঁটি সোনা চেনার উপায়

0

বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সব কিছুর সাথে সোনার সম্পর্ক ঔতপ্রোতভাবে জড়িত। বিয়ে-শাদি থেকে শুরু করে নতুন সন্তানের মুখ দেখার সময়ও দেয়া হয় সোনা উপহার।

আবার শুভ-অশুভ নানা কুসংস্কার এবং ভালো মন্দের সাথেও জড়িয়ে আছে সোনার কাহিনী। তবে একটা সময় ছিল যখন মানুষ সোনার খাঁটি ভেজাল নিয়ে এতো মাথা ঘামাতেন না। বিশ্বস্ত স্বর্ণকারের কাছ থেকেই বিশ্বাসের সাথে সোনা বেচাকেনা হতো। কিন্তু, যত দিন যাচ্ছে সব কিছুর সাথে সাথে সোনাতেও মিশে যাচ্ছে ভেজাল।

তাই এখন ক্রেতারা সোনা কেনার ব্যাপারে একটু হতাশই থাকেন। তবে আজ আপনি কিছু কৌশল শিখে নিতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারবেন আসল সোনা চেনার উপায়।

সোনা মাপা হয় ক্যারেট দিয়ে। কিন্তু, কতটা খাঁটি কতটা খাদ বুঝবেন কী করে? সাধারণত খাঁটি সোনা নরম। এই নরম সোনা দিয়ে গহনা করা যায় না। এতে মেশাতে হয় সিলভার, তামা, দস্তা প্রভৃতি ধাতু। তাই খাঁটি স্বর্ণ কিনতে হলে স্বর্ণের নমনীয়তা খেয়াল করুন।

এছাড়া স্বর্ণ কিনুন ২৪ ক্যারটের। ২৪ ক্যারট সোনাই হলো খাঁটি সোনা। ২৪ ক্যারট সোনা মানে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি সোনা। কিন্তু, দোকানে সাধারণত ২৪ ক্যারট সোনা দিয়ে গয়না তৈরি হয় না। তাতে সেই সোনার অলঙ্কার বড্ড নরম হয়ে যায়। তাই দোকানে সাধারণত, ২২ ক্যারট সোনা দিয়েই অলঙ্কার তৈরি হয়। আপনি সেদিকটা খতিয়ে দেখে নেবেন, যাতে ২২ ক্যারট সোনা দেওয়া হয়। ২২ ক্যারট সোনা মানে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি সোনা।

ফ্লুরোসেন্স মেশিনে এক্সরে করিয়ে নিতে পারেন। যদিও এই পদ্ধতিতে সোনা যাচাই করাটা একটু কঠিন। কারণ, সব জায়গাতে সচরাচর এমন সুযোগ আপনি নাও পেতে পারেন। তবুও একবার চেষ্টা করে নিলে ক্ষতি কি!

সোনার গহনা কষ্টি পাথরে ঘষে সোনার দাগ ফেলতে হবে। এরপর দাগের ওপর পাতলা সালফিউরিক এসিড দিয়ে পোড়াতে হবে। এরপর পানি ধুয়ে দেখতে হবে সোনার রং ঠিক থাকলে হবে, খাটি সোনা। আর যত কালো হবে, তত বেশি খাদ মেশানো মনে করতে হবে। খাদ মেশানোর পরিমাপ বুঝতে কিছুটা বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে।

এছাড়া এখন ঢাকার প্রসিদ্ধ জুয়েলারি শোরুমগুলোতে আছে স্পেকট্রোমিটার। তারা মেশিনেই যাচাই করেন সোনার মান। ক্রেতারাও ভরসা পাচ্ছেন। তাই সোনার গয়না কেনার আগে অবশ্যই এই মেশিনে সোনার মান যাচাই করে নেবেন। এতে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।