অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গ্রামীণ পরিবেশে একটি দিন কাটাতে পদ্মা রিসোর্ট

0

পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক দিনের জন্য যদি কোথাও যদি বেড়াতে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত যায়গা হচ্ছে পদ্মা রিসোর্ট। গ্রামীণ পরিবেশে একটি দিন কাটানো নিঃসন্দেহে আপনাকে আগামী কিছুদিনের জন্য আরো উদ্যমী করে তুলবে। পরিবার বা প্রিয়জন নিয়ে ঢাকা ও আশপাশ থেকে একদিনে ঘুরে আসার জন্যে আপনার পছন্দের জায়গা হতে পারে পদ্মা নদীর পাড়ের এই পদ্মা রিসোর্ট।

পদ্মা রিসোর্টে মোট ১৬টি ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে। প্রতিটি কটেজই একটি বড় বেডরুম, দুটি সিঙ্গেল বেডরুম এবং একটি ড্রইংরুমের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর দুটি সুন্দর ব্যালকনি ও একটি বাথরুম রয়েছে। বাঁশ ও তাল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি প্রতি কটেজে ৮ জন অনায়াসেই থাকা যায়। কটেজগুলো বেশ সাজানো গোছানো এবং পরিষ্কার-পরিছন্ন।

বর্ষাকালে কটেজগুলোকে পানির রাজ্যে ভাসমান দ্বীপের মতো মনে হয় আর শীতকালে কটেজের আশেপাশে নানান রঙের ফুলে ভরে থাকে। ১২টি কটেজের নামকরণ করা হয়েছে বাংলা ১২ মাসের নাম অনুযায়ী আর বাকি ৪টি কটেজের নাম দেয়া হয়েছে ঋতুর নামে। একটু নিরিবিলিতে থাকতে চাইলে বাংলা মাসের নামে পরিচিত পশ্চিম দিকের কটেজগুলো বেছে নিতে পারেন।

নৌকা ভ্রমণ করতে চাইলে বিভিন্ন ছোট-বড় নৌকার ব্যবস্থা করা আছে পদ্মা রিসোর্টে। রাবার বোট, স্পিড বোট বা কান্ট্রি বোটে ঘুরে আসতে পারেন পদ্মার বুক থেকে কিংবা ফিশিং বোটে করে চলে যেতে পারেন মাছ শিকারে। ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এখানে প্রত্যেক বোটেই লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

পদ্মা রিসোর্ট খরচ
সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কটেজ ভাড়া নিতে ২,৩০০ টাকা লাগবে (ভ্যাটসহ)। আর সকাল ১০টা থেকে পর দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত থাকলে কটেজ ভাড়া দিতে হবে ৩,৪৫০ টাকা (ভ্যাট সহ)। পদ্মার বুকে ঘুরতে চাইলে স্পিডবোট প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৫০০ টাকা লাগে, সাম্পান নৌকায় ঘণ্টা প্রতি লাগে ১২০০ টাকা এবং ট্রলারে প্রতি ঘণ্টায় দিতে হয় ৬০০ টাকা।

রিসোর্ট বুকিং দিতে যোগাযোগ

সরকারি ছুটির দিনে পদ্মা রিসোর্টে যেতে চাইলে অবশ্যই আগে বুকিং মানি পরিশোধ করে নিজের বুকিং নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া আপনি রিসোর্টে গিয়েও খালি থাকা সাপেক্ষে ভাড়া নিতে পারবেন।

যেভাবে যাবেন

ঢাকার গুলিস্তান থেকে গাংচিল কিংবা ইলিশ পরিবহনের বাস দিয়ে লৌহজং যেতে পারবেন। আর যদি আপনি মিরপুর ১০, ফার্মগেট অথবা শাহবাগ থেকে যেতে চান তবে স্বাধীন পরিবহনের বাস আপনাকে লৌহজং পৌছে দেবে।

আবার আপনি গুলিস্তান থেকে গ্রেট বিক্রমপুর পরিবহনের বাসে করে মাওয়া ফেরিঘাট এসে লৌহজং চৌরাস্তা মোড় দিয়ে রিকশা বা অটোরিকশা নিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ মিনিটে পৌঁছে যাবেন পদ্মা রিসোর্টে। এক্ষেত্রে রোড ম্যাপ হবে মাওয়া ফেরিঘাট থেকে লৌহজং চৌরাস্তা মোড়। সেখান থেকে লৌহজং পুলিশ ফাঁড়ি, তারপর পদ্মা রিসোর্ট।

আর নিজের গাড়ি নিয়ে গেলে রাস্তায় দুটো স্থানে টোল দিতে হবে ৬০ টাকা। গাড়ি পার্কিং করতে লৌহজং থানার সামনে যেতে হবে। লৌহজং থানার কাছে মসজিদের ঘাটে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও স্পিডবোট পাওয়া যায়। ৫০ টাকা ট্রলার ভাড়ায় যেতে পারবেন পদ্মা রিসোর্টে।

মাওয়া থেকে পদ্মা রিসোর্ট

মাওয়া ফেরিঘাট হতে রিসোর্টের নিজস্ব স্পিডবোটে করে সরাসরি রিসোর্টে। আর আগে যোগাযোগ করে রাখলে রিসোর্টের নৌকা আপনাদের ভাড়ায় পাড়ে নিয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে ঘাটে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। মাওয়া থেকে সড়ক পথে অটো বা সিএনজি অটোরিকশায় করে ঘোড়াদৌড়/লৌহজং যাবেন। সেখানে বললেই হবে আপনাকে ট্রলারের ঘাটে নামিয়ে দেবে। তারপর জনপ্রতি ৫০ টাকা ট্রলার ভাড়ায় পদ্মা রিসোর্টে নিয়ে যাবে।