অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দস্তগীর চৌধুরী তার কর্মের গুণেই মানুষের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন- শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দস্তগীর চৌধুরী তার স্বভাব সুলভ গুণাবলী দিয়ে সবার মন জয় করেছেন। একজন স্পষ্টভাষী, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সদালাপী ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা চট্টগ্রামী আজীবন মনে রাখবে। চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তার স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তিনি দলীয় দায়িত্ব পালনে একজন নিবেদিত প্রাণ মানুষ ছিলেন। দস্তগীর চৌধুরী তার কর্মের গুণেই মানুষের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন।

আজ ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর চৌধুরী ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত এসব কথা বলেন।

সভায় তিনি আরো বলেন দলীয় নেতাকর্মীদের কারো বিপদের কথা শুনলে দস্তগীর চৌধুরী ঝাপিয়ে পড়তেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন তা দলের নেতাকর্মীরা চিরদিন মনে রাখবে। একজন বলিষ্ট ও সাহাসী নেতা হিসাবে দলের সকল কর্মসূচিতে দস্তগীর চৌধুরীকে সোচ্চার ও নির্ভীক ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে দায়িত্ব পালন করেছেন তা চট্টগ্রামবাসী চিরদিন স্মরণ করবে। তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিকে শক্তিশালী, গতিশীল ও সুদূঢ় ভীত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন বিএনপির একজন দক্ষ, কর্মনিষ্ট ও শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের নিবেদিত প্রাণ বলিষ্ট সংগঠক।

স্বরণ সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, একজন সজ্জন মানুষ হিসাবে দস্তগীর চৌধুরী আমাদের মাঝ থেকে অকালে বিদায় নেয়া অত্যন্ত বেদনাদায়ক। দস্তগীর চৌধুরী তার জীবদ্দশায় নানামুখী কর্মকান্ডে যুক্ত থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট নিজেকে ঘনিষ্ট করে তুলেছিলেন। তিনি বলেন, দলীয়, খেলাধুলা এবং সামজিক কর্মকান্ডে সফল দস্তগীর চৌধুরীর সুনাম ছিল সর্বজনবিদিত। তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেলেন। একজন কর্মনিষ্ঠ এবং বিনয়ী মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বমহলে সমাদৃত। না ফেরার দেশে চলে গেলেও ক্রীড়া সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার ভূমিকা চট্টগ্রামবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা মো. মিয়া ভোলা, সাবেক কমিশনার সামশুল আলম, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, এস এম আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, সিহাব উদ্দিন মবিন, হামিদ হোসাইন, হাজী নুরুল আকতার, মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী হানিফ সওদগার, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আবদুল্লাহ আল হারুন, মো. ইদ্রিস আলী, আবু মুসা, আলী আজম, আল আইন বিএনপির সভাপতি রফিক আহমদ, মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর একমাত্র সন্তান ব্যারিষ্টার ফয়সাল দস্তগীর চৌধুরী, থানা বিএনপির নেতা আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমান, ইউসুফ সিকদার, নগর যুবদল নেতা ছাইফুর রহমান শপথ, ছাত্রদল নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপির নেতা আকতার খান।

স্বরণ সভা শেষে বাদ আছর দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা এহসানুল হক। পরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।