অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামিন পেল বন্দর কর্মকর্তা

0
.

দুদকের হাতে গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জামিন পেয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সন্দীপন চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল ইমরান সন্দীপন চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সন্দীপন চৌধুরীকে গ্রেফতার করে দুদক।

দুদক আইনজীবী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘সোমবার গ্রেফতারের পর আসামিকে আদালতে পাঠানো হলে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।  আমরা আদালতে জামিনের বিরোধিতা করেছিলাম।  শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার তার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিন দিয়েছেন।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন উপ-প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সন্দীপন চৌধুরী।

উল্লেখ্য, অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি পণ্য ক্রয় করায় চট্টগ্রাম বন্দরের ছয় কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রথম মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান, চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ প্রকৌশল বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) খোরশেদ আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী (মেরিন) আমিনুল ইসলাম, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সন্দীপন চৌধুরী ও নৌ বিভাগের সহকারী হারবার মাস্টার (অপারেশন) নুর আহম্মদ।

দ্বিতীয় মামলায় শাহ আমানত ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান ভূঁইয়া ও প্রথম মামলার বন্দরের চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। তৃতীয় মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়ার্কশপ ম্যানেজার এসএম শাহজাহান, সহকারী কারখানা ?অধিক্ষক-২ আবদুর রাজ্জাক ও প্রথম মামলার পাঁচ জনসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয়। দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়-১-এর উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ শহিদুল আলম সরকার নগরীর বন্দর থানায় মামলা তিনটি দায়ের করেন।

মামলার বাদী শহিদুল আলম সরকার জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে জাহাজের টারবো চার্জার, এক্সজাস্ট মেনিপোল্ট ও এভিআর ক্রয়ের কথা। কিন্তু তারা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে অনিয়ম করে এসব পণ্য কিনেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

*দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দুদক