অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এবার কোচিং সেন্টার মালিককে বেদম মারধর করেছে ছাত্রলীগ নেতা রনি! (ভিডিও)

5
.

চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ অধ্যক্ষ ড. জাহেদকে মারধরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার ইউনি এইড কোচিং সেন্টার এর মালিক রাশেদকে ২০ লক্ষ টাকার চাঁদার জন্য মারধর করার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে।

মারধরের এ ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুক ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়েছে।

.

দুই মাস আগে (১৭/০২/২০১৮) সংগঠিত এ ঘটনায় মারধরের শিকার মো. রাশেদ মিয়া আজ বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর পাঁচালাইশ থানায় রনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

মারধরের শিকার রাশেদ জানান, গত ফ্রেব্রুয়ারী মাসের ১৭ তারিখে রনি আমার জিইসি মোড়ের অফিসে এসে ২০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সে আমাকে মারধর করে।এরপর গত ১৩ ই এপ্রিল রনি আমাকে তার মুরাদপুরের অফিসে ডেকে নিয়ে আবারও মারধর করে।ঐ দিন রাতে সে আমার সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসায় সন্ত্রাসী পাঠিয়ে আমার ও আমার স্ত্রীরর পাসপোর্ট এবং ৩৫হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি

.

এবিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

এ বিষয়ে জানতে নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, রাশেদের সাথে আমার কোচিং বাবসা রয়েছে।  তিনি আমার পাটনার।  আমার সাড়ে ৯লাখ টাকা সে মেরে দিয়েছে। এনিয়ে তার সাথে বিরোধ। ঘটনার পর রাশেদের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো হয়ে গেছে।  তার কোন অভিযোগ ছিল না। কোন চাঁদা চাওয়ার বিষয় না। দুই মাস আগে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ (যুবলীগের টিনু) পুলিশকে চাপ দিয়ে মামলা করিয়েছে।  দাবী রনির।

উল্লেখ্য, এর আগে গতমাসে নগরীর চকবাজার এলাকায় বেসরকারি কলেজ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহেদকে মারধর করে রনি। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলে দেয়। এবং পরে চকবাজার থানায় মামলা হয়েছে রনি সহ তার সহযোগিয়ের বিরুদ্ধে।

https://www.youtube.com/watch?v=TBxQVmGUnHU

*মারধরের ঘটনায় নগর ছাত্রলীগ নেতা রনি যা বলেন

 

 

৫ মন্তব্য
  1. Jabed Rahim Moon বলেছেন

    আমি নূরুল আজিম রনি এবং মো: রাশেদ মিয়া দীর্ঘ পরিচয়ের সূত্র ধরে বিগত দেড় বছরের অধিক সময় যাবত জিইসি মোড়ের Mch কোচিং সেন্টার ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং uniaid যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালনা করে আসছি।উক্ত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন রাশেদ মিয়া নিজে দায়িত্ব পালন করতো।বিভিন্ন সময়ে আর্থিক লেনদেনের গড়মিল দেখতে পেলে আমি বন্ধুত্বের খাতিরে এড়িয়ে যেতাম।প্রতিমধ্যে সিএমপির সাবেক ওসি আজিজ আহমেদের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে তার বিরোধ হলে আমার কাছ থেকে দুই চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোন হিসাবে গ্রহন করেছিলো রাসেদ খান।দীর্ঘ এক বছর এই অর্থ পরিশোধ না করলেও আমি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারনে তার সাথে এসব নিয়ে বিরোধে জড়ায়নি।প্রতিমধ্যে বিগত ১৬ ফেব্রুয়ারি কোচিং এর অফিস রুমের কম্পিউটারে কাজ করার জন্য প্রবেশ করতে গিয়ে দেখতে পাই জনৈক এক ব্যক্তি নিচ তলার একটা অংশে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস নিচ্ছেন।এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তিনি কেন ক্লাস নিচ্ছেন তার জবাব চাইতে রাসেদ কে ফোন করি।রাসেদ পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারী কোচিং সেন্টারে এসে আমাকে জানায় নিচ তলার একটা ফ্লাট সেঙ্গুইন প্লাসের এক শিক্ষককে ভাড়া দিয়েছেন।অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠানে আমার অজ্ঞাতে অন্য ব্যাক্তির কাছে ভাড়া দেওয়ার কারন জানতে চেয়ে রাসেদের সাথে আমার ঝগড়া বিবাদ হয়।বিবাদের এক পর্যায়ে দুজনেই খুব উত্তেজিত ছিলাম এবং অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা ঘটে। যেহেতু দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছিলাম সেহেতু বিষয়টি ঐদিন রাতেই নিজেরা মীমাংসা করে ফেলেছিলাম।বিগত দুই মাস এ নিয়ে কোন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করা হয়নি।বিগত ১০ তারিখ আমার কাছ থেকে লোন নেয়া সাড়ে নয় লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিলো রাসেদের।১৩ তারিখ রাতে পাওনা টাকার ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে সে আমার কাছে উপস্থিত হয়েছিলো।বাকী টাকা ফেরতের কথা বললে সে জানায় সে পালিয়ে যাবেনা পরদিন বাকী টাকা ফেরত দিয়ে দেবে।অথচ এ ক’দিন সে মোবাইল বন্ধ রেখে আজ বৃহস্পতিবার চকবাজার এলাকার এক কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুকে সাথে নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জননেতা আ জ ম নাছির উদ্দিনের সাথে দেখা করেন।পরে সেখান থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও চকবাজারের কথিত যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনুন কে সাথে নিয়ে পাচলাইশ মডেল থানায় এসে একটি অভিযোগ করেন।বিগত দুই মাস আগের একটু ভিডিও (১৭ ফেব্রুয়ারী) এসময় গনমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করে বিভ্রান্তিকর একটি পরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছে।

    আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই,অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেন নিয়ে নিজেদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়।নিজেদের প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া নিজেদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাকে পুজি করে এক শ্রেনীর রাজনীতিবীদ আমাকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে।আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এ প্রতিবাদ জানায় এবং এ সংক্রান্তে গনমাধ্যমকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

    নিবেদক
    নূরুল আজিম রনি
    সাধারন সম্পাদক
    বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর

  2. Md Noman Chowdhury বলেছেন

    রাইট

  3. Md Nasir Uddin বলেছেন

    তাকে এত সাহস কে দিয়েছে! সেই এতে বেপরোয়া হয়ে গেল কেন! সেইত একন বড় জজ্ঞি হয়ে গেছে! তারত আর বেছে তাকার দর কার নাই!