অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা করে নগর বিএনপির দোয়া মাহফিল

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, কারাগারে বন্দি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও সরকার টালবাহনা করছে। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকগণ দাবী করেছেন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা। কিন্তু সরকার নির্বিকার। সরকার চায়না বেগম জিয়া সুস্থ হউক। নির্দয় আওয়ামী সরকারে দু:শাসন চলছে বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বাদে আছর নগরীর আমানত শাহ (র.) মাজার মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

এতে তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। রাতের আধারে বিএনপি নেতা কর্মীরা অদৃশ্য হয়ে যায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে চোখ বেঁধে তুলে নেয়া হয়েছে। দেশে এখন ভয়ংকার অবস্থা বিরাজ করছে। শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার কারণেই আজ বেগম জিয়াকে জেলে আটকিয়ে রেখেছে। তিনি আরো বলেন, সারাদেশে চলছে দুর্নীতি, দু:শাসন ও সন্ত্রাস। এই দুর্নীতি ও দু:শাসন থেকে মুক্তি পেতে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের শপথ নিতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে গণবিরোধী ফ্যাসিষ্ট সরকারের কারাগার থেকে গণতন্ত্র রক্ষার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্বদানকারী বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালাচ্ছে। সরকার সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে। ইতিহাস স্বাক্ষী কোন অত্যাচারি স্বৈরশাসক দমন নিপীড়ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারেনি। বর্তমান অবৈধ অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিষ্ট সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।

দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মো. মিয়া ভোলা, হাজী মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আজম উদ্দিন, নাজিমুর রহমান, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এডভোকেট আবদুস সাত্তার সরওয়ার, এস এম আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান, নুরুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, মোস্তাক আহমদ খান, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, গাজী সিরাজউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সিহাব উদ্দিন মবিন, শেখ নুর উল্লাহ বাহার, সহসাধারণ সম্পাদক জিএম আইয়ুব খান, কাউান্সিলর ইয়াছিন চৌধুরী আছু, সম্পাদকবৃন্দ এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মাঈনুদ্দিন মো. শহীদ, এম আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসেন, হাজী নুরুল আকতার, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, মো. নুরুজ্জামান, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন ডেপতি, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আবদুল্লাহ আল হারুন, সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, ছাবের আহমদ, সফিক আহমদ, আলমগীর নূর, ওয়াহিদুল আলম, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, আবদুল হাই, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, হাজী বাদশা মিয়া, মনির আহমদ চৌধুরী, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আবদুল কাদের জসিম, হাবিবুর রহমান, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এইচ এম রাশেদ খান, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, শেখ রাসেল, জমির উদ্দিন নাহিদ, নগর বিএনপির সদস্য মো. ইলিয়াছ, আবুল মনসুর রোমেল, সাহেদা বেগম, মো. ইউসুফ সিকদার, মনজুর কাদের মিন্টু, মো. তছলিম হোসেন, বিএনপি নেতা কাউন্সিলর ইসমাঈল বালি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, হাজী মো. ইলিয়াছ, আবদুল্লাহ আল ছগীর, জানে আলম জিকু, মো. বেলাল, মো. আজম, ছাদেকুর রহমান রিপন, হাজী মো. এমরান, মনজুর কাদের, জাহেদ উল্লাহ রাশেদ, জসিম মিয়া, হাসান ওসমান, মোস্তাক আহমদ প্রমুখ। দোয়া মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মুনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা শাহজাদা আলহাজ এনায়েত উল্লাহ খান (ম.জি.এ)।