অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বোয়ালখালীে উপজেলা চেয়ারম্যান কতৃর্ক নারী সাংবাদিক লাঞ্চিত

1
.

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

বোয়ালখালীতে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হকের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন এক নারী সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।

দৈনিক প্রথম আলো’র বোয়ালখালী প্রতিনিধি কাজী ফারজানাকে উদ্দেশ্য করে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক বলেন, ‘এই বেটি (মেয়ে), ল্যাপটপ বন্ধ কর।  তুই জানিস, আমি চেয়ারম্যানের, চেয়ারম্যান।  আমার সামনে বসে সংবাদ টাইপ করছিস।?

এছাড়া ল্যাপটপ বন্ধ করতে সময় নেওয়ায় তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় আচরণ করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যানের এ ধরণের আক্রমণাত্মক আচরণে কান্নায় ভেঙে পড়েন এ নারী সাংবাদিক।  এ ঘটনায় তিনি শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

কাজী আয়েশা ফারজানা অভিযোগ বলেন, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে কমিউনিটিং পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভার সংবাদ সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে ইউপি চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে ল্যাপটপে সংবাদ লেখার সময় অর্তকিত ভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান মো. আতাউল হক ঢুকে পড়েন এবং তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে উচ্চস্বরে বলেন, ‘এই বেটি (মেয়ে), ল্যাপটপ বন্ধ কর। তুই জানিস, আমি চেয়ারম্যানের, চেয়ারম্যান। আমার সামনে বসে সংবাদ টাইপ করছিস।’ এছাড়া ল্যাপটপ বন্ধ করতে সময় নেওয়ায় তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় আচরণ করেন।

এ সময় চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম, ইউপি সদস্যগণসহ সভায় আগত স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চরণদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। এতে আমি দু:খ প্রকাশ করছি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতাউল হক বলেন, ‘আমি জীবনে কোনোদিন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি। বিকেলে চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে দরকারি কথা বলার জন্য। এসময় পাশে বসা ফারজানাকে ল্যাপটপ বন্ধ করতে বলেছিলাম, সে তা বন্ধ করে চলে যায়। তবে ল্যাপটপ বন্ধ করতে বারবার বলেছিলাম। এতে যদি কোনো দোষ থাকে আমি ক্ষমা প্রার্থী।’

১ টি মন্তব্য
  1. Mohammed Shahid Shahid বলেছেন

    বুড়া মানুষ কি, করবে আর