অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সুখী হতে মনোবিজ্ঞানের ১৯ টিপস

0

১. আপনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন এমন তিনটি বিষয় প্রতিদিন ডায়েরিতে লিখে রাখুন। সম্প্রতি ইউসি ডেভিসের মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, এতে তৃপ্তি মেলে।

২. এমন এক রাতে বাইরে বেরিয়ে পড়ুন যখন পরিষ্কার ঝকঝকে আকাশে তারাগুলো স্পষ্ট দেখা যায়। ওই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে মনের সব জড়তা নিমেষে দূর হয়ে যায় বলে প্রমাণ মিলেছে গবেষণায়।

৩. সুন্দর কোনো স্থানে বেড়াতে চলে যান। ২০১৫ সালের ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’-এ বলা হয়, সুইজারল্যান্ডে চলে যান। মনটা শান্তিতে ভরে উঠবে।

৪. এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি পান করুন। এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। ক্যাফেইন কেবল সতেজ করে তা-ই নয়, এটি মনমেজাজ ভালো কর দেয়।

৫. অসংখ্য গবেষণায় এ তথ্য আজ প্রমাণিত সত্য যে মেডিটেশনে শান্তি মেলে। কাজেই এর চর্চা শুরু করে দিন।

৬. রোমাঞ্চকর উপন্যাস পড়ুন। ২০১২ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, রোমাঞ্চ উপন্যাস মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়। সুখী করে তোলে পাঠককে।

৭. বাইরে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলদা। বিশেষ করে বন্ধু বা পরিবারকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে চলে যান। জীবনের সব ভালো না লাগা গায়েব হয়ে যাবে। এক গবেষণায় বলা হয়, বনে গেলে মানসিক চাপ দূর হয়ে যায়।

৮. প্রকৃতির মাঝে হেঁটে আসুন। গাছপালাপূর্ণ পরিবেশ বা যেকোনো পার্কে সামান্য সময় হাঁটলেই সুখী মন নিয়ে ঘরে ফিরবেন আপনি।

৯. মনটা ভালো থাকা অবস্থায় যা করতে ভালো লাগে, তাই করুন যখন মনটা খারাপ থাকে। অসুখী মন নিয়ে ইতিবাচক কাজ করলে সুখ ভর করতে থাকে।

১০. যেকোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিন। আপনি পছন্দ করেন বা না-ই করেন, সুখ আসবে মনে। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব কাজে যোগ দিলে দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা দূর হয়ে সুখ আসে।

১১. দুঃখের গান শুনলে মনটা অনেক উদার হয়ে ওঠে, ভালো লাগা কাজ করে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। কাজেই কষ্টের কোনো গান শুনতে পারেন।

১২. বাস্তবমুখী লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। এ কাজটি যখন কল্পনাবিবর্জিত হয়, তখন মনে সুখ লাগে।

১৩. মনের অনুভূতিগুলো লিখে ফেলুন। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ডায়েরি লেখেন, তাঁরা এ কাজের পর সুখী হয়ে ওঠেন।

১৪. অন্যের জন্য অর্থ ব্যয়ে কিছু সুখ মেলে। নিজের জন্য তো মেলেই। কাউকে উপহার কিনে দেওয়া বা অর্থ সহায়তা দিলে সুখের সন্ধান পাবেন।

১৫. বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। যা-ই করুন না কেন, মন ভালো হবে।

১৬. মন খারাপ অবস্থায়ও যদি হাসতে পারেন, তাহলে চট করে মন ভালো হয়ে যাবে। কোনো কারণ ছাড়াই হেসে দেখুন, ফল মিলবে।

১৭. ক্ষমাশীল হোন। কেউ মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে তা পুষে রাখবেন না। এতে সুখ নষ্ট হবে। কিন্তু ক্ষমা করে দিলে ভারমুক্ত হবেন।

১৮. সঙ্গী-সঙ্গিনীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে উঠুন। এ বছর প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, অন্তরঙ্গ জুটিরা সুখের সময় কাটান।

১৯. শরীরচর্চা করুন। ব্যায়ামে দেহমন সুস্থতা পায়। মন ভালো থাকে। সুখ বোধ করবেন অনায়াসে।