চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের নিজ গ্রাম আনোয়ারার বরুমছড়া এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র (পিস্তাল) বের করার একটি ছবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দলের ভেতরে এবং বাইরে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে থেকে এভাবে কোন ঘটনা ছাড়া অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় সমালোচনা চলছে সর্বত্র।
দলের নেতারা এ জন্য তার শাস্তি চেয়ে কেন্দ্রিয় নেতাদের বিষয়টি অবহিত করেছে।
দলবল নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে নিজের বাহাদুরি দেখানোর জন্য প্যান্টের পকেট থেকে অস্ত্র বের করে প্রদর্শন করেছিল বলে স্থানীয়রা জানান। ছবিতে পিস্তল বের করার সময় আবু তাহেরকে বেশ হাস্যোজ্জল দেখাচ্ছিল।
তবে আবু তাহের বলেছেন পকেট থেকে অস্ত্র নয়, মোবাইল ফোন বের করছিলাম। এটা অস্ত্র নয়, আপনি আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করেন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অপপ্রচার। ফেসবুকের কোন পোস্টের কি গ্রহণযোগ্যতা আছে? মোবাইল যদি অস্ত্র হয়ে যায় আমার করার কিছুই নেই। আবু তাহের বলেন, বৈশাখীতে কোন উৎসব করতে পারিনি। তাই ছেলেদের নিয়ে পারকির চরে বেড়াতে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের এক নং সহ সভাপতি মিজানুর রহমান পাঠক ডট নিউজকে বলেন, দলের সেক্রেটারীর মত পদ পদবী ধারণ করে কেউ এ ধরণের বেআইনী কাজ করলে আমার তার শাস্তি দাবী করছি। ছাত্রলীগ শিক্ষা শান্তি প্রগতির সংগঠন। কোন সন্ত্রাসীকে ছাত্রলীগ প্রশয় দেয় না। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর এ ব্যাপারে কেন্দ্রিয় নেতাদের সাথে কথা বলেছি। এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেছি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল মাহমুদ রাতে টেলিফোনে পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আনোয়ারাতে গতকাল বুধবার ছাত্রলীগের দলীয় কোন কর্মসূচি ছিল না। তবে শুনেছি আবু তাহেরের নেতৃত্বে তার লোকজন গ্রামের বাড়ীতে এসেছিল। কিন্তু অস্ত্র প্রর্দশনের কোন ঘটনা আমার জানা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, যদি এ ধরণের কোন কিছু ঘটে থাকলে আমরা তদন্ত করে দেখবো।
মোবাইল কি অস্ত্র হয় সম্পাদক সাহেব। নিউজ করার আগে ভালো করে সব জানা দরকার নয় কি?
মোবাইল আর অস্ত্রের পার্থক্যও বুঝেন না???