অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফরিদের খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে, মামলার পরও গ্রেফতার করছে না পুলিশ

0
নিহত ফরিদুল ইসলাম, খুনি ফয়সাল (ডানে)

চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়ার ডিসি রোড়ে ক্যাবল ব্যবসা নিয়ে দ্বন্ধে যুবলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম ফরিদ খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার।

আজ শনিবার সকালে নগরীর চকবাজার থানায় ফরিদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ মোট ৯ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামীর তালিকায় রাখা হয়।  তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মামলায় যাদের নাম উল্লেখ আছে তারা হলেন, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মুছা, দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ও ফয়সাল এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জানে আলম, নবী, ইকবাল, তৌহিদুল আলম, মাসুদ এবং মুরাদ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ হোসেন। তিনি বলেন গতকাল রাতে অভিযোগ পেয়েছি। তা আজ সকালে মামলা নেয়া হয়েছে।  আসামিদের গ্রেফতারে তাদের অভিযান চলছে।

অভিযোগ রয়েছে এ খুনের নেতৃত্ব দেন যুবলীগ সন্ত্রাসী ফয়সাল ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী রাসেল।

যুবলীগ সন্ত্রাসী ফয়সালের নামে আগেও একটি খুনের মামলা রয়েছে।

২০১৪ সালে নগরীর ডিসি রোড়ে ইমন নামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে  ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করেছিল ফয়সাল। মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঔ বছরের ০৪ মে সন্ধ্যায় ইমনকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে ঢাকায় ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭মে ইমন মারা যায়।  এ মামলায় ১৭ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীর্ট হয়েছে।

এ ঘটনায় বাকলিয়া থানা পুলিশ ফয়সারকে গ্রেফতার করেছিল। পরে সে জামিনে বেরিয়ে আবারও খুনের নেশায় জড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য শুক্রবার দুপুরে ডিস ক্যাবল ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় যুবলীগ কর্মী ফরিদ।  এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারীসহ চারজন। নগরীর ডিসি রোডের কালাম কলোনীতে ক্যাবল ব্যবসায়ি যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফয়সালের অনুসারীদের মধ্যে ক্যাবল ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র সংগঠিত সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়।

নিহত ফরিদের পরিবার অভিযোগ করেছেন, ফরিদ খুনের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো খুনিদের গ্রেফতার করেনি।  অথচ খুনিরা প্রকাশ্যে এলাকায় বিচরন করছে।