অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অস্টিওম্যালেশিয়া নারীদের জন্য নিরব ঘাতক

0

সাধারণত মহিলাদের ৪০ বছর বয়সের পরে এই সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি-এর অভাবে মূলত এই রোগ হয়। মাংসপেশী আর হাড়ে ব্যথা এই রোগের লক্ষণ। শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা হয়। পিঠেও ব্যথা হতে পারে। রাতে ব্যথা বাড়ে। প্রথম অবস্থায় এই রোগের লক্ষণ বোঝা যায় না। তাই বয়স বাড়লেই নারীর নিজের শরীর নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন হালকা রোদে কিছুক্ষণ দাঁড়াতে পারলে ভালো হয়। ডায়েটে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের ওপর জোর দেওয়া জরুরি।

লক্ষণ ও প্রতিকার:

. যেকোনো বয়সেই অস্টিওম্যালেশিয়া হতে পারে।

. ৪০-এর পরে মহিলাদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়।

. মাংসপেশি ও হাড়ে ব্যথাই মূল লক্ষণ। অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা মূলত জয়েন্টে হয়। আর অস্টিওম্যালেশিয়া মাংসপেশিতে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা (হাত, পা, থাই, পিঠে) হয়। পিঠে ব্যথা বা পেলভিস এরিয়ায় ব্যথাও হতে পারে।

. রাতে এই ব্যথা বেশি হয়।

. প্রাথমিক অবস্থায় এর লক্ষণ দেখা যায় না। প্রয়োজন সচেতনতার।

. লক্ষণ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করতে হতে পারে। নির্দিষ্ট টেস্টের মাধ্যমেই বোঝা সম্ভব ভিটামিন ডি’র অভাব আছে কি না। প্রয়োজনে ডাক্তার এক্সরে করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

. হালকা রোদে কিছুক্ষণ দাঁড়াতে পারলে ভালো হয়।

. শুধু খাওয়া-দাওয়ার অভাবে অসুখ হলে সাপ্লিমেন্টেশন দেওয়া হয়।

. প্রতি ছয় মাস বা একবছরে ব্লাড টেস্ট করে দেখে নেওয়া উচিত ভিটামিন ডি’র পরিমাণ।

. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।

. শারীরিক পরিশ্রমও প্রয়োজন।

. অনেকেই ভাবেন এই ব্যথা বোধহয় অস্টিওপোরেসিস বা অস্টিওআর্থাইটিসের ফলে হচ্ছে! এটি ভুল ধারণা।

. শুধু ক্যালসিয়াম খেলেই যে সমস্যার সমাধান হবে, তা নয়। ক্যালশিয়াম যেন শরীর অবজার্ভজ হয়, সেজন্য ভিটামিন ডিও প্রয়োজন।