অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ভবিষ্যত অর্থনীতির হার্ব-চেম্বার সভাপতি মাহবুব

0
.

চট্টগ্রামকে ভবিষ্যতে অর্থনীতির হার্ব মন্তব্য করে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন পণ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে স্বীকৃত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেক্সটাইল, চামড়া, পাট ও পাটজাত সামগ্রী বিশ্ববাসীর কাছে খুবই জনপ্রিয়। এসব সামগ্রী আইসিটি খাতে ফিলিপিনো বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সাথে বিশেষ মতবিনিময় সভায় মিলিত হলে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্টে ভিভেনসিও টি. ব্যান্ডিলোর কাছে তিনি প্রস্তাব রাখেন। এছাড়া চেম্বার সভাপতি বাংলাদেশ হতে অধিক পরিমাণ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ঔষধ আমদানি এবং কর্মী হিসেবে প্রকৌশলী ও আইটি বিশেষজ্ঞ নেয়ার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করেন।

আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে তারা মিলিত হন। এ সময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. আবদুল মান্নান সোহেল ও তরফদার মো. রুহুল আমিন এবং ফিলিপাইনের অনারারী কনসাল ও বাংলাদেশ ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি এম. এ. আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত ভিসেন্টে ভিভেনসিও টি. ব্যান্ডিলো বলেন-চট্টগ্রাম বৈশ্বিক পরিমন্ডলে ঐতিহাসিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য স্বীকৃত। তিনি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ তথা অর্থনীতির সম্পর্কোন্নয়নে সরকার-বেসরকারী খাতের অধিকতর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ হতে তৈরী পোশাকজাত সামগ্রী, ঔষধসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় রপ্তানি সামগ্রী ফিলিপাইন বাজারে প্রবেশ এবং ফিলিপিনো উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন বলে জানান। তিনি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করে বাংলাদেশী রপ্তানি পণ্যের গুণগতমান পর্যবেক্ষণ করেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলেও আগামীতে উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সুযোগ রয়েছে। তিনি দু’দেশের বেসরকারী খাত এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করে পারস্পরিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ, সরাসরি যোগাযোগ এবং তথ্য বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

চেম্বার পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন মেরিন খাতে ফিলিপিনো শ্রমিকদের দক্ষতার প্রসংগ উল্লেখ করে উভয় দেশ এ খাতের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

ফিলিপাইনের অনারারী কনসাল ও বাংলাদেশ ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি এম. এ. আউয়াল আইসিটি খাতে ফিলিপাইনের সমৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করেন এবং দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)’র সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করার কথা জানান।