অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন

0

গরম পড়লেই অনেকে এসি কেনার কথা ভাবেন। হাতে টাকা আছে আর মাথায় চাপল বলে হুট করে বাজারে গিয়ে এসি কিনে নিয়ে আসলেন- এমনটা হয় না। অনেকে কোন এসি কিনবেন বুঝে উঠতেই সময় চলে যায়। যারা এই চিন্তায় রয়েছেন তাদের জন্য কিছু টিপস-

১. স্‌প্লিট না উইনডো কোনটা কিনবেন? তুলনামূলকভাবে উইনডোর থেকে অনেকটাই এগিয়ে স্‌প্লিট এসি। দেখতে অনেক বেশি স্মার্ট। উইনডো এসি-র ক্ষেত্রে পুরো সেটআপ একসঙ্গে থাকে। স্‌প্লিট এসি-র ক্ষেত্রে অনেকটা অংশ মূল এসি-র থেকে দূরে থাকে। ফলে উইনডো এসিতে শব্দ হয় কিন্তু স্‌প্লিট এসিতে কোনো শব্দ হয় না।

এগুলো ছাড়াও আর একটা সুবিধা হল জানালা। ঘরে উইনডো এসি বসালে একটা জানালা দখল হয়ে যায়। আলো-বাতাসও কমে যায়। কিন্তু স্‌প্লিটের ক্ষেত্রে তা হয় না। তবে উইনডোর থেকে স্‌প্লিট-এর দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি পড়বে।

২. আপনি কি ইনভার্টার এসি কিনতে চান? সাধারণ আর ইনভার্টার এসি-র মধ্যে গুলিয়ে ফেলবেন না। নামের আগে ইনভার্টার আছে তাই বিদ্যুৎ চলে গেলেও এসি চলবে, এমনটা ভাবলে ভুল হবে।

সাধারণ এবং ইনভার্টার এসি-র মূল তফাৎ এটা বিদ্যুতের সাশ্রয় করে। এসির কম্প্রেসরকে খুব ধীর গতিতে সক্রিয় রেখে বিদ্যুৎ অপচয় কমানোই মূল লক্ষ্য ইনভার্টার এসি-র। ফলে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল অনেক কম আসে। সাধারণ এসি-র থেকে অনেক বেশি সময় ঘর ঠান্ডা রাখে।

৩. এসি-র প্রসঙ্গ এলেই সঙ্গে টনের হিসাবও চলে আসে। অনেকেই ভাবেন টন আসলে ওজন। কিন্তু সেটা ভুল ধারণা। প্রতি ঘণ্টায় যে পরিমাণ তাপ এসি বার করতে পারে, এটা তার পরিমাণ। বাজারে ১.৫ টন, ২ টন এসি রয়েছে। তবে নিজের মতো কিনে নেবেন না। দোকানে প্রতিনিধিকে ঘরের মাপ অবশ্যই জানাবেন। আপনার ঘরের জন্য কত টনের এসি লাগানো উচিত সঠিকটা ওই প্রতিনিধিই আপনাকে জানাবেন।

৪. এসি-র গায়ে স্টিকারে বেশকিছু স্টার রেটিং করা রয়েছে। ১ থেকে ৫ পর্যন্ত রেটিং-ই থাকে সাধারণত। একে বিইই বা ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলা হয়। আপনার এসি কতটা বিদ্যুৎ খরচ করে, এটা তারই রেটিং।