লাকী আখন্দকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
প্রসেঞ্জিত মহাজন (পিজিত):
লাকী আখন্দ, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সুরকার, সঙ্গীতপরিচালক ও গায়ক। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রকাশ পায় অসংখ্য শ্রোতানন্দিত ও ব্যপক জনপ্রিয় সব গানের সুরকার, সঙ্গীতপরিচলাক শিল্পী লাকী আখন্দের প্রথম সলো অ্যালবাম ‘লাকী আখন্দ’ (সেলফ্ টাইটেলড, লেভেলঃ সারগাম-১২০)। বাংলা সঙ্গীতের ক্ল্যাসিক সেই অ্যালবামের উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলোঃ ‘এই নীল মণিহার ‘আমায় ডেকোনা’ ‘রীতিনীতি কি জানিনা’ , ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘হৃদয় আমার’, ‘সুমনা’, ‘তোমার স্বাক্ষর আঁকা’। অবশ্য পরবর্তীতে ‘আমায় ডেকোনা’ গানটি তিনি শিল্পী সামিনা চৌধুরীকে উপহার দেন এবং সামিনা চৌধুরী তার একক অ্যালবামে গানটি সংকলন করেন গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী লেখা ও লাকী আখন্দের সুরারোপে করা এই বিখ্যাত গানটি।
কেমন আছেন এই শিল্পী এখন, কোথায় আছেন তিনি? ক’জনাইবা সে খবর রাখেন এখন, সর্বশেষ খবর হলো- টানা ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে অনেকটা নিরবেই দেশে ফিরলেন সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক লাকি আখন্দ। গত বছরের বছরের নভেম্বর থেকে ব্যাংককের পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানে দফায় দফায় তাকে কেমোথেরাপি দেয়া হয়। কেমো শেষে ২৬ মার্চ তিনি দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। আপাতত বাসাতেই আছেন তিনি। তবে লাকি আখন্দের শারীরিক অবস্থা কেমন তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু জানাতে পারছেন না।
এর আগে গেল সেপ্টেম্বরে ফুসফুসে ক্যানসার নিয়ে ব্যাংককে পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। প্রথম দফায় শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। মূলত লাকী আখন্দের লিভার থেকে হার্টে পানি ঝরছিল। আর এ কারণে কেমোথেরাপি শুরু করতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পরপরই অক্টোবরের প্রথম দিকে ঢাকায় নিজ বাসায় ফিরেন লাকী। দেশেই চিকিৎসাধীন ছিলেন কিছুদিন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতবছরের নভেম্বরে তাকে ব্যাংককে নেয়া হয়। তার শরীরে ছয়টির মতো কেমো দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ লাকী আখন্দকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সপ্তাহ খানেক পর তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে।
বাংলা গানের ভান্ডার কে যারা বিশাল করেছেন তাদের মধ্যে লাকী আকন্দ অন্যত্তম। তিনি একাধারে গীতিকার’সুরকার’এবং শিল্পী। তার কালজয়ী গান গুলো আমরা আজ ও চারিদিকে শুনতে পাই এবং আমাদের সংগীত কে টিকিয়ে রাখার জন্য লাকী আকন্দের মত মানুষ গুলোর ভীষন দরকার।
চিকিৎসার অভাবে অনেক গুণী মানুষকে হারিয়েছি আমরা, কিন্তু আর নয়। আমাদের লাকী আকন্দ স্যার মরণব্যাধী ক্যান্সার আক্রান্ত।
আসুন আমরা সবাই এগিয়ে আসি। সব শিল্পীরা একত্রিত হয়ে আমাদের প্রিয় লাকী আকন্দ স্যারকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। বেশ কিছুদিন আগে ব্যাংকক ক্যামো থেরাপি দিয়ে আসেন তিনি। ডাক্তারের মতে আরো ১০ টি থেরাপি দিতে হবে। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা চাই মিউজিসিয়ান ‘ শিল্পী শ্রোতা সবার সমনয়ে আমাদের প্রিয় শিল্পীকে আর্থিকভভাবে সহযোগিতা করতে।
২৯ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৩ টায় প্রেসক্লাব চত্বর একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিব যে। আমরা আমাদের প্রিয় শিল্পীকে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারি। এবং মিউজিসিয়ানরা সংগে তাদের গিটার নিয়ে আসবেন। আমরা গাইব স্যারের কালজয়ী গান গুলো।
লেখক:ভোকাল, চাটগা দ্যা ব্যান্ড।