অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাঙামাটিতে বসতভিটা দখলের চেষ্টার অভিযোগে ৯ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

0
.

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসা ৯ পরিবারের বসতভিটা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব পরিবারর পক্ষে আজ বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তারা বসতভিটা হারানোর শঙ্কায় ভূগছেন। রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপার একটি রেস্টুরেন্টে এক যৌথসংবাদ সম্মেলন জানায়, তারা সবাই শহরের ভেদভেদী নতুন পাড়ার বাসিন্দা।

তারা হলেন- মৃত আবদুর রহমানের ছেলে আবদুল গণি, মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আনোয়ার আজিম, মৃত আলী মিয়ার ছেলে মো. আবু তাহের, মৃত কিরিটি মোহন বড়–য়ার ছেলে মৃদুল বড়–য়া ও আবদুল খালেকের স্ত্রী শারমিন আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনে এসব পরিবার বলেন, আমরা সদর উপজেলার ১০২ নম্বর রাঙ্গাপানি মৌজার ভেদভেদী নতুন পাড়ার ১৯৫০ দাগে ২৫ শতক জায়গা ভোগ দখলে রেখে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে ১৭ বছর ধরে নিস্কন্টকভাবে একসঙ্গে বসবাস করে আসছি।

জায়গাটির অনুকূলে সংশ্লিষ্ট গ্রামপ্রধানের সুপারিশে বন্দোবস্তুর জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করি। এতে পাওয়া ডকেট নম্বর-৫৭৫ মূলে সরকারি খাজনা পরিশোধ করে আসছি। পরে কেন সরকারি জায়গা বাংলাদেশের নাগরিককেকে বন্দোবস্তু দেয়া হবে না মর্মে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন আবেদন করি। মামলাটি বর্তমানে চলমান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও রাঙামাটি সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) চিঠি ইস্যু করেছেন হাইকোর্ট।

কিন্তু এতটা বছর সম্পূর্ণ নির্বিকার থেকেও হঠাৎ তাদের নিজেদের জায়গা দাবি করছে, শহরের তবলছড়ির জনৈক মঞ্জুলিকা চাকমার নেতৃত্বে স্থানীয় একটি চিহ্নিত ও প্রভাবশালী ভূমিদস্যু গোষ্ঠী। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগও দেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অবহিত করা হয়।

আনোয়ার বলেন,আমরা ৯টি পরিবার রাঙামাটি সদর উপজেলার ১০২নং রাঙ্গাপানি মৌজাস্থ ভেদভেদি নতুন পাড়ায় বসবাস করে আসছি। ২০০২সাল হতে প্রায় ১৭টি বছর ধরে ওই জায়গার উপর আমরা ৯ পরিবার বিভিন্ন গাছ গাছালি ও বনজ ফলজ গাছ লাগিয়ে বসবাসের উপযোগি করে তুলি। আমরা যখন এ জায়গা দখলে যাই তখনই বন্দোবস্তির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদন করে রাখি।বন্দোবস্তি বন্ধ থাকার কারনে আমরা আর এগুতে পারছিনা।

এছাড়াও আমরা নিয়মনীতি মেনে এজায়গা ভোগ দখলে রেখে মৌজার কার্ব্বারী ও হেডম্যানের সুপারিশ ক্রমে জেলা প্রশাসক বরাবরে বন্দোবস্তি পাওয়ার জন্য সময়ে আবেদন করি।যার সিরিয়াল নং২৫১২৪,তারিখ২৬ডিসেম্বর ২০১৬, ডকেট নং ৫৭৫ তারিখ-২৯ডিসেম্বর ২০১৬। যার চালান নং ১-৪৬ ৩১-০০০০-১২১১। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, এ সংক্রান্ত ব্যাপারে আমরা মহামান্য হাইকোর্ট বরাবরে একটি রীট পিটিশন করি। ওই রীট পিটিশনের আলোকে মহা মান্য হাই কোর্ট এ ভূমির উপর অস্থায়ী নিয়েধাজ্ঞা জারি করে সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়,জেলা প্রশাসক রাঙামাটি,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রাঙামাটি,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাঙামাটি,রাঙামাটি সদর উপজেলা (ভূমি) কমিশনকে পত্র ইস্যু করেন। কিন্তু কেউকে পাত্তা দিচ্ছে না ভূমি দস্যু মঞ্জুলিকা চাকমাগংরা। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ভাবে পৌর মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসেও সুরাহ হয়নি।