অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিচার বিভাগকে কলংকিত করে বেগম জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে- সুফিয়ান

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেছেন, জনগণের লুন্ঠিত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে অবৈধ আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে মিথ্যে, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে বেগম জিয়াকে কারাবন্ধি করে রাখা হয়েছে। সরকার বিচার বিভাগকে কলংকিত করে একের অপর এক মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার মুক্তির পথ বিলম্বিত করছে। আদালতের বিচারকগণ আজ সরকারের দোসেরে পরিণত হয়ছে। একজন বয়োজৈষ্ঠ্য, অসুস্থ, নেত্রীকে এই পবিত্র রমজান মাসে মুক্তি না দিয়ে তারা নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে। অবিলম্বে ঈদের পূর্বে নেত্রীকে মুক্তি দিন। অন্যথায় আপনাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জনগণকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে যেকোন মূল্যে নেত্রী কে মুক্ত করে আনবো।

তিনি আজ বুধবার (৬ জুন) বিকালে নগরীর পূর্বষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এর উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিশেহারা জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে স্বাধীনতার সকল অর্জন শাসকগোষ্ঠীর শাসন ও শোষণের যাঁতাকলে পিষ্ট হলে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ,আধুনিক ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে তিনি খাল কাটা কর্মসূচীর প্রণয়ন করে কৃষিতে ও শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিল্পে বিপ্লব ঘটিয়ে দেশের উন্নয়ন শুরু করেন।প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন ও ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে তিনি সার্ক প্রতিষ্ঠা করেন।দেশ ও জনগণের প্রতি মমত্ববোধ ও অগাধ ভালোবাসা থাকার কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলার রাখাল রাজা হয়ে তিনি জনগণের মণিকৌঠায় স্থান করে নেন।

তিনি আরোও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৯০ই এর স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশকে আরোও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেন। জনগণের হাতে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে,একটি অংশীদারিত্বমূলক সামাজিক ও ন্যায়বিচার সম্পন্ন সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তিনি কাজ করে গেছেন।

মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এর বক্তব্য দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে মাদক নয় মূলত বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নির্মূলের যুদ্ধে নেমেছে সরকার।এটি নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিএনপিকে নিবার্চন থেকে দূরে রাখার অপকৌশল মাত্র।সরকারের ব্যার্থতার কারণেই দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ সৃষ্টি না হওয়ায় এবং কর্মসংস্থান এর অভাবে দেশের বেকার তরুণ সমাজ মাদকের দিকে ঝুকঁছে।মাদক নির্মূলে এবং এর ভয়াবহ প্রভাব থেকে আমাদের পরিবার,সমাজ তথা রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে সামাজিক সচেতনার পাশাপাশি মাদক আইনের যথাযথ ব্যাবহার,আইন শৃংঙ্গলাবাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন এবং এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

৬নং পূর্বষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ হাসান লিটন এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি নাজিমউদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপির সুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম মঞ্জু। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বখতেয়ার, ন্যাপ মহানগর শাখার সভাপতি ওসমান গণি সিকদার,মহানগর বিএনপির সবেক সদস্য রাজা মিয়া,সাবেক মহানগর বিএনপির সদস্য মঞ্জুর আলম মঞ্জু, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু।চান্দগাঁও থানা ছাত্রদল এর সাধারন সম্পাদক গোলজার হোসেন এবং ছাত্রদল নেতা আবু বক্কর রাজু’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,বিএনপি নেতা মোঃ বখতেয়ার, ন্যাপ নেতা ওসমান গণি সিকদার, বিএনপির নেতা রাজা মিয়া, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, জানে আলম জিকু, মোশাররফ হোসেন, আফিলউদ্দিন, যুবদলের গিয়াসউদ্দিন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মনছুর কাইয়ুম,শওকত আলী, জামায়াত নেতা মোঃ ফোরকান, বিএনপির মোঃ আলমগীর,ফজল আজিম মাসুম, মো;হোসেন, আলী হোসেন প্রমুখ।