আগ্রাবাদে টেলিভিশন সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করায় দুই সার্জেন্ট প্রত্যাহার (ভিডিও)
চট্টগ্রামে দুই টেলিভিশন সাংবাদিক ও গাড়ী চালককে শাররীক নির্যাতনের দায়ে ট্রাফিক পুলিশের দুই সার্জেন্টকে তাৎক্ষনিক প্রত্যাহিার করেছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে এ ঘটনার পরপরই সাংবাদিকরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে দুই ট্রাফিক সার্জেন্টকে ক্লোজ করে নেয়। তারা হলেন, ট্রাফিক সার্জেন্ট মশিউর ও সাখাওয়াত।
লাঞ্চিত হওয়া বেসরকারী টেলিভিশন নিউজ২৪ এর সিনিয়র রিপোর্টার নয়ন বড়ুয়া জয় ও ক্যামেরাপারসন আহাদুল ইসলাম বাবু জানায়, সন্ধ্যায় জরুরী একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চৌমুহনীর দিক থেকে গাড়ি নিয়ে আমরা আগ্রাবাদ সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের বিপরীতের জামান হোটেলে যাচ্ছিলাম।বাদামতলির মোড়ে ডান দিকে মোড় নেওয়ার সময় গোল চত্বর না ঘুরে কোণাকুণি পথে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যান চালক। আমাদের গাড়ির সামনে আরও চার-পাঁচটি গাড়ি ছিল। ওই গাড়িগুলোর মধ্যে কোনোটিকেই পুলিশ বাধা দেয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে ট্রাফিক সার্জেন্ট মশিউর এসে চালককে মারধর শুরু করে। চালককে মারতে নিষেধ করলে তিনি আমাকেও লাঞ্ছিত করেন। এক পর্যায়ে বাদামতলি মোড়সংলগ্ন ট্রাফিক বক্সের কাছে গাড়ি দাঁড় করায়। তারপর অদূরে মোড়ের পুলিশ বক্সে গেলে আমার গায়ে হাত দেয় এবং চালককে লাঠি দিয়ে পেটায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মশিউর ও সাখাওয়াত।
এসময় তারা আমাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
ক্যামেরা পার্সন আহাদুল ইসলাম বাবু ও গাড়ির চালক আজিম উদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়ে সার্জেন্ট মো. মশিউর রহমানের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে নিউজটোয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার নয়ন বড়ুয়া জয়। তিনি বলেন, বাবুকেও বেদম মারধর ও গালিগালাজ করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমি তাদের বাঁচাতে গেলে আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. মশিউর রহমান ও সাখাওয়াত এবং তাদের সহযোগীরা।
এদিকে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার খবরে ছুটে আসেন সাংবাদিক নেতারা। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস প্রথমে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে খবর দেন। পরে অন্যান্য সাংবাদিকরাও ঘটনাস্থলে ছুটে যান বলে জানান হাসান ফেরদৌস।
এসময় সিইউজে সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ও রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিইউজের সাবেক সহসভাপতি নিরূপম দাশগুপ্ত, সিইউজের নির্বাহী সদস্য উত্তম সেনগুপ্ত, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বাবু, সাংবাদিক লতিফা আনসারী রুনাসহ সাংবাদিক নেতা ও কর্মরত সাংবাদিকরা।
সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নেতারা ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়ার পরপর ছুটে আসেন ট্রাফিক পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) ফাতিহা ইয়াছমিনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা।
হাসান ফেরদৌস পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আমরা দুই সার্জেন্টকে শাস্তি এবং অাইনগত শাস্তির দাবী জানিয়েছি। পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের দাবীর মুখে অভিযুক্ত দুজনকে তাৎক্ষনিক প্রত্যহার করে নিয়েছেন। এবং আগামীকাল তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটির রিপোর্টের ভিক্তিতে তাদের সান্সপেন্ড করার আশ্বাস দিয়েছেন।
সিইউজে সাবেক সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী পাঠক ডট নিউজকে জানান, দুই সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বাদামতলি মোড়ে প্রতিবাদে কর্মসূচি পালনের ডাক দেয়। পরে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছুটে এস দুঃখ প্রকাশ এবং অভিযুক্তদের শাস্তির আশ্বারস ও তাৎক্ষনিক প্রত্যাহার করে নেয়ার পর কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
আইন অমান্যকারীদের জন্য শাস্তির বিধান আছে। কে কাকে তেড়ে গেছে মারধর করেছে পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ড আছে… পুলিশ দোষি না হলে তাদের প্রত্যাহার করা হতো না। আপনি আবার কোত্থেকে এলেন দালালী করতে..?।
সেটাতো আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে।
অামিতো আগেই বলেছি আইন অমান্য করলে শাস্তি আছে। কিন্তু তার জন্য সাংবাদিককে পিটাতে পারে না। বলছি না। আইন অমান্য করেনি। তারা নিজেরাই স্বীকার করছে উল্টো পথে গেছে। আমি কোন মাপের সাংবাদিক সেটা আপনার থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে না। পুলিশ যে মিথ্যা অভিযোগ দেয় সেটা ভিডিওই প্রমান করে। পুলিশকে আপনি অতটা সাধু ভাবছেন..? পাছায় যখন লাঠির বারী পড়রবে তখন বুঝবেন..।
S M Karim Uddin মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল সাহেব অন্যায় করে সমালোচিত হয়েছেন। সাংবাদিকরা যে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না সেটা বুলবুল সাহেবের ঘটনায় প্রমাণ করে। তিনি আমাদের নেতা হয়েও তাকে অন্যায় কাজের জন্য সাংবাদিকরা তিরস্কার করেছে। বেশীর ভাগ পত্রিকায় নিউজ করেছে। চাইলে নেতা বলে ছাড় পেয়ে যেতে পারতো।
ভিডিওটা দেখে তারপর কমেন্টস করেন। https://www.youtube.com/watch?v=q7nC5O9tTcc
দাদু, আপনার কোন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, আপনার প্রতিবেশীতো।