অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের কসমেটিকস্ পণ্য নকল করে বিক্রি হচ্ছে লাকি প্লাজায়

0
.

প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ আছে ঠিকঠাক, প্যাকেট খুলতেই দেখা গেলো ভেতরে মেয়াদোত্তীর্ণ কসমেটিক পন্য রেখে দেয়া হয়েছে।  ভোক্তারা মোড়কের গায়ে সঠিক মেয়াদ দেখে পন্য কিনবেন, হবেন প্রতারিত। “ম্যাক” “রেভলন” নামক বিখ্যাত ব্রান্ডের কসমেটিকস, আন্তর্জাতিক বাজারেই যার মূল্য বেশ চড়া, সেই পন্য বিক্রি হচ্ছে একশ থেকে দুশ টাকায়। পণ্যের গায়ে নেই কোন উৎপাদনের তারিখ, নেই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখও।

এমনই অভিনব প্রতারণার চিত্র দেখা গেল চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ লাকি প্লাজার বিভিন্ন কসমেটিকসের দোকানে।  চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের আজ রবিবার অভিযানে উঠে আসে এমন চিত্র।  পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

.

জানাগেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনায় গিয়ে দেখতে পান, লাকী প্লাজার বিভিন্ন কসমেটিকস এর দোকানে যে সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তার উৎপাদনের তারিখ নেই, নেই মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ।  অথচ কসমেটকস এর মত স্পর্শকাতর পণ্যে উৎপাদনের তারিখ এবং মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ থাকা বাধ্যতামূলক।

ধারনা করা হচ্ছে বিদেশী নামিদামি বিভিন্ন ব্রান্ডের পণ্যের নকল করে এই পণ্য বাজারে ছাড়া হয়েছে, এই কারনে কোন মেয়াদ উল্লেখ নেই, সত্যিকারের বাজার মূল্যের চেয়ে পন্যগুলোর মূল্য অস্বাভাবিক কমও।

এছাড়াও বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু মেয়াদোত্তীর্ণ কসমেটিক জব্দ করা হয় ও পরবর্তীতে তা সবার সম্মুখে ধ্বংস করা হয়। দুটি দোকানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারা মোতাবেক পৃথকভাবে ৬০০০ ধারায় জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম।