অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জামিনে মুক্ত কণ্ঠশিল্পী আসিফ

0
.

তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করার আগ পর্যন্ত এ জামিন বহাল থাকবে। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

পরে বিকালে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে আসিফ বাসায় ফিরে যান। বিকেলে আসিফ আকবরের ঘরে ফেরার সময়কার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করছেন তার একান্তজন মইনুল হক রোজ।

তিনি জানিয়েছেন, আসিফ আকবরকে নিয়ে তারা এখন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের যেভাবে পাশে থেকেছেন সবার প্রতি ভালোবাসা জানান আসিফ আকবর ও স্ত্রী বেগম সালমা আসিফ।
গাড়িতে আসিফ আকবরের সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী সালমা আসিফ ও কাছের মানুষজন। সোমবার সকালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন আসিফ আকবর।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায় আসিফের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। ১০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় এই শিল্পী। মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করার আগ পর্যন্ত এ জামিন বহাল থাকবে।

সকালে আদালতে আসিফের আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করেন। তর্ক যুক্তির পরে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল রবিবারও আসিফের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছিলেন। তবে কোনো কারণ উল্লেখ্য না করে জামিন আবেদনটি প্রত্যাহার করে নেন।

গত মঙ্গলবার (৫ জুন) দিনগত রাত দেড়টায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম কণ্ঠশিল্পী আসিফকে তার অফিস থেকে গ্রেফতার করে। সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন কর্তৃক তেজগাঁও থানার দায়ের করা তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও প্রতারণার একটি মামলায় (মামলা নম্বর ১৫) তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শফিক তুহিন মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান বিক্রি করেছেন।

পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রা. লি. কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লি. গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লি. ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির ওই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইক সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন।

মোট ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার (শফিক তুহিন) বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।

ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাকে যেখানেই পাবেন সেখানেই প্রতিহত করবেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকে দেয়। আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে তার (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।

এজাহারে শফিক তুহিন আরও উল্লেখ করেন, বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।