অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মঙ্গলে ধূলিঝড়, বিপদে নাসার ‘অপরচুনিটি’

0

ধুলোঝড়ে আক্রান্ত পুরো মঙ্গলগ্রহ। এতে লালগ্রহ খ্যাত মঙ্গলে অবস্থানরত নাসার মঙ্গলযান ‘অপরচুনিটি’ বিপদে পড়েছে। বিগত ১৫ বছর মঙ্গলগ্রহে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছে এই যানটি।

নাসার এই যানটি মঙ্গলগ্রহে চারভাগের এক ভাগ এলাকা ইতোমধ্যে ঘুরে দেখে ফেলেছে। ধুলোঝড়ের কারণে সূর্য থেকে পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করতে পরছে না সে। খবর: আনন্দবাজার পত্রিকার।

নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই ধুলোঝড়ের মধ্যে আরও বেশ কয়েকদিন কাজ চালিয়ে নিতে পারবে অপরচুনিটি। কিন্তু, ঝড় কবে নাগাদ থামবে, কবে আলো মঙ্গলের মাটিতে পৌঁছবে তা নির্ভর করছে সূর্যের ওপর। মে মাসের শেষদিকে ঝড় শুরু হয়েছে।

অপরচুনিটির প্রজেক্ট ম্যানেজার জন ক্যালাস বলেন, ‘আমাদের হাতে কিছুই নেই। ভয়াবহ ঝড় হচ্ছে সেখানে। কবে নাগাদ এই ঝড় থামবে, তা আমাদের জানা নাই।’

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নাসার বিশেষজ্ঞরা অপরচুনিটির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।

অবশ্য ধুলোঝড় মঙ্গলে নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই হয়। যখন হয়, বায়ুমণ্ডলের দশ-বিশ কিলোমিটার ধুলোর আস্তরণে ঢেকে যায়। দিনের বেলায় অন্ধকার নেমে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধুলোয় হয়তো মঙ্গলযান চাপা পড়বে না। চাকাও হয়তো আটকে যাবে না। মূল চিন্তা, ওর কিছু বিশেষ যন্ত্রাংশ নিয়ে। তা ছাড়া মঙ্গলযানের ব্যাটারির ক্ষমতাও কমে এসেছে। একটিমাত্র ঘড়ি কাজ করছে। সেটা অফলাইন হয়ে গেলে, সময়ের হিসাব গুলিয়ে ফেলবে। পৃথিবীতে আর খবর পাঠাতে পারবে না অপরচুনিটি।

এর আগে ২০০৭ সালেও এক ভয়াবহ ধুলোঝড়ের মুখে পড়েছিল অপরচুনিটি। বেশ কিছুদিন কাজ করতে পারেনি। কিন্তু, এবার মঙ্গলযানে সঞ্চিত শক্তি (চার্জ) খুবই কম। সেটাই আশঙ্কার অন্যতম কারণ।

নাসার ‘মার্স এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম’-এর ডিরেক্টর জিম ওয়াটজিন বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমরা যে যানটির কথা বলছি, সেটার ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বানানো হয়েছিল মাত্র ৯০ দিনের জন্য!’

২০০৩ সালে দুটি মঙ্গলযান পাঠিয়েছিল নাসা। এই দুটি মঙ্গলযান হলো অপরচুনিটি ও স্পিরিট। স্পিরিট বেশি দিন কাজ করতে পারেনি। তবে অপরচুনিটি এখনো তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। নাসার আর এক যান ‘কিউরিওসিটি’ও মঙ্গলে রয়েছে। কিন্তু, তাকে নিয়ে অতটা চিন্তায় নেই বিজ্ঞানীরা।