চলছে বিশ্বকাপ, এশিয়ায় বসে রাশিয়ার টাইম জোনের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হিমশিম হতে হচ্ছে ফুটবলপ্রমীদের৷ চলছে রাত জেগে খেলা দেখাও। কিন্তু কাজ তো থেমে নেই। পরের দিন নিয়ম করে কাজে যেতে হবে। কিন্তু ঘুমঘুম ভাব নিয়ে কী ঠিকমতো কাজে মন বসানো যায়?
তাছাড়া রাত জাগলে শরীরও খারাপ হতে পারে। উভয় সংকট। কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এ ঝামেলা থেকে রেহাই সম্ভব-
বেশি করে পানি পান করুন:
রাত জেগে খেলা দেখতে দেখতে বেশি করে পানি পান করুন। অন্তত আট গ্লাস করে পানি খান৷ পরিমাণে পানি কম গ্রহণ করলে শরীর ক্লান্ত হয়। চিনি, মিষ্টি ও এনার্জি ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন৷ এসবে তাড়াতাড়ি শরীর চাঙ্গা হয়, কিন্তু তাড়াতাড়ি ক্লান্তিও নেমে আসে৷
কফি খান, তবে পরিমাণমতো:
ক্যাফিন ঘুম কাটাতে সাহায্য করে৷ নার্ভকে চাঙ্গা করে৷ ফলে কড়া এক কাপ কফি খেতেই পারেন৷ তবে তার মানে এই নয় যে, কাপের পর কাপ কফি খাবেন৷ তাতে আবার অন্য অসুস্থতা এসে জুড়ে বসলে বিশ্বকাপটাই মাটি হবে৷
খাওয়া দাওয়া করুন:
নিয়মিত রাত জাগতে হলে অবশ্যই ভাল খাওয়া দাওয়া করুন৷ অনেকে চটজলদি এনার্জির জন্য মিষ্টির দিকে ঝোঁকেন৷ চিনি, মিষ্টি ও এনার্জি ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন৷ এসবে তাড়াতাড়ি শরীর চাঙ্গা হয়, কিন্তু তাড়াতাড়ি ক্লান্তিও নেমে আসে৷
কক্ষ ঠান্ডা রাখুন:
গরম এড়িয়ে চলুন। এসি ছেড়ে রাখতে পারেন। ঘাম হলে ক্লান্ত হয়ে পড়ার শঙ্কা বেশি৷ আর মানসিক ক্লান্তিও জমা হয়৷ ফলে হালকা করে এসটি চালিয়ে রাখুন৷ তাতে খানিকটা ক্লান্তি কাটবে৷
উজ্জ্বল আলোয় থাকার চেষ্টা করুন:
আমাদের শরীর একটি নির্দিষ্ট ছন্দ মেনে চলে৷ রাতের অন্ধকারে ঘুম আর দিনের আলোয় জেগে থাকা এই ছন্দোবদ্ধতায় অভ্যস্ত শরীর৷ তাই দিনে যখন ঘুমঘুম পাবে তখন, আলোটা উজ্জ্বল করে দিন৷ দরকার হলে একটার পরিবর্তে আরও আলো জ্বালিয়ে দিন৷ যাতে ঘুম কাটে৷
গান শুনুন, নিজেকে ব্যস্ত রাখুন:
ক্লান্তিভাব কাটাতে গান শুনতে পারেন৷ কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান শুনতে থাকলে ঘুম থেকে মন সরে যায়৷ এছাড়া নিজেকে ব্যস্ত রাখুন৷ অলসভাবে বসে থাকলে আরও ঘুম আসবে৷ এছাড়া যেহেতু অনেক নিয়ম মানা হচ্ছে না, তাই শরীর ফিট রাখতে হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন৷ তবে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই৷ তাই অবসর দেখে অবশ্যই ঘুমিয়ে নিন৷