অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশের জনগণ বেগম জিয়াকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করে আনবে

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছ এই সরকর। তার যে আইনী অধিকার তা থেকে বঞ্চিত করতে সরকার অপকৌশল গ্রহণ করেছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আপিল বিভাগ থেকে আদেশ দিয়ে দেশ নেত্রীকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কারাগারে আটক রাখার চেষ্টা করছে। জামিন বিলম্বিত করার জন্য ৬ টি মামলায় অন্য আসামীরা জামিনে থাকার পরও তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।

তিনি আজ ৯ জুলাই সোমবার কাজীর দেউরী নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত অনশন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আদায়ে সারাজীবন আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। দেশের জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করে আনবে।

তিনি বলেন, সরকারের উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের উদ্ভট বেহেয়াপনায় বাংলাদেশের মানুষ হতবাক ও স্তম্ভিত। জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে বিদেশীদের কাছে নতজানু হয়ে কৃপা আদায়ের এমন ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে যা বাংলাদেশে বিরল। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোন বিদেশী শক্তি যদি অবৈধ হস্তক্ষেপ করতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন ও সার্বভৌমত্ব অতি দুর্বল। ডা. শাহাদাত বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের ধারাবাহিক পৈশাচিক হামলায় সারাদেশের মানুষ ক্ষোভে উত্তাল। দফায় দফায় হামলা চালিয়ে
এবং ছাত্রীদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা নারীদের উপর একাত্তরের হানাদার বহিনীর নির্মমতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক
দাবীকে পাস কাটিয়ে মেধাশূন্য জাতি উপহার দিতে চক্রান্ত করছে সরকার।

অনশনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, কারাগারে বন্দি বেগম খালেদা জিয়ার উপর অবিচার করছে সরকার। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নেত্রীর জামিন নিয়েও নিষ্ঠুর আচরণ করছে এই অবৈধ সরকার। বর্তমান সরকার মানবতা ও মানবিকতা বিবর্জিত। ন্যায়বিচার থেকে দেশের সকল মানুষ বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। এই স্বৈরাচার সরকার অতীতের সকল স্বৈরাচারী সরকারকে হার মানিয়েছে।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত গায়েবী মামলা দায়ের করেছে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে ৫ জানুয়ারী মার্কা আর একটি নির্বাচন করার নীল নকশা প্রণয়নের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণতন্ত্র প্রিয় জনগণ তাদের সেই খায়েশ পূরণ হতে দেবে না। দুশাসকের অত্যাচার হচ্ছে সাময়িক, জনগণের ভালবাসার মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনবো।

অনশন কর্মসূচি শেষে ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও আবু সুফিয়ানকে ফলের জুস খাওয়ায়ে অনশন ভঙ্গ করান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।

অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি‘র সহসভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, জয়নাল আবেদীন জিয়া, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, সৈয়দ আহামদ, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, হাজী নবাব খান, এডভোকেট মকবুল কাদের, এডভোকেট জহুর আলম, অধ্যাপক শাহ আলম, এডভোকেট আবদুল মালেক, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো: শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু।

কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেনশিহাব উদ্দিন মুবিন, সামশুল আলম (ডক), ডা. এস এম সরওয়ার আলম, ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, থানা বিএনপির নেতা মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশারফ হোসেন ডেপটি, ছাইফুর রহমান বাবুল, মো: সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর এনপিপির সভাপতি আনোয়ার সাদেক, নগর বিএনপি নেতা আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মো: ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, ইসমাইল বাবুল, আবু মুসা, সফিক আহাম্মদ, আলমগীর নুর, আবদুল মতিন, ফয়েজুল ইসলাম, আবুল খায়ের মেম্বার, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাউদ্দিন লাতু।