অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ছেলেদের চুলের যত্নে দারুণ কিছু হেয়ার প্যাক

0

নারী আর পুরুষের শরীরের গঠনের পাশাপাশি তাদের ত্বক ও চুলের ধরনও ভিন্ন হয় থাকে। নারীর তুলনায় বেশি রুক্ষ হওয়ার কারণে পুরুষের চুলের জন্য বেশি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। একসময় নিজেদের চেহারার প্রতি উদাসীন থাকলেও এখন সেই দিন অনেক বদেলেছে। আজকাল ছেলেরাও নিজের চেহারার ব্যাপারে কমবেশি সচেতন। তাই সৌন্দর্য চর্চা আর কেবল নারীদের বিষয় নয়। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে অনেক পুরুষই নিজের জন্য এই সময়টুকু বের করতে পারেন না, অনেকেই আবার ইচ্ছা থাকলেও সঠিক উপায় না জানার কারণে সৌন্দর্য চর্চা করতে পারেন না। আসুন পুরুষের ত্বক ও চুলের পরিচর্যার কিছু সহজ টিপস জেনে নেই, যা প্রয়োগ করলে ফুটে উঠবে আপনার স্বাভাবিক সৌন্দর্য।

কলার প্যাক

একটি পাকা কলার পেস্ট, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি ভালভাবে মাথায় লাগান। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বাইরে ঘোরাঘুরির কারণে ছেলেদের চুল খুব রুক্ষ হয়ে যায়। চুলের রুক্ষতা দূর করতেও এই প্যাক অনেক বেশী কার্যকরী।

মেথির প্যাক

সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেটি পেস্ট করে নিন। এরপর মেথির পেস্টের সাথে টক দই দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। মেথি আপনার চুলকে নরম এবং শাইনিও করবে।

ডিমের প্যাক

চুল পড়া রোধে ডিম সবচেয়ে ভাল উপাদান। একটি ডিমের সাদা অংশ, ১ টেবিল চা চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল সবগুলো উপাদান দিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি ভাল করে মাথা লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। ডিম আপনার চুলের পুষ্টি যোগান দিবে সাথে সাথে আপনার চুল্কে করবে সিল্কি।

মেহেদির প্যাক

মেহেদির সাথে আমলকীর গুঁড়া, ২ টেবিল চামচ দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। ১ ঘণ্টার পর শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। বাইরের ক্রেমিক্যাল পণ্য দিয়ে চুল রং না করে মেহেদি ব্যবহার করা অনেক বেশী নিরাপদ। এটা চুলের গোঁড়াকে মজবুতও করে।

পেঁয়াজের রস

নতুন চুল গোঁজাতে পেঁয়াজের রসের বিকল্প নেই। ২/৩টি বড় সাইজের পেঁয়াজের রস মাথার তালুতে ভাল ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ঘন্টাখানিক পর শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। আপনি চাইলে পেঁয়াজের রসের সাথে আমলকীর রস ও দিতে পারেন।

কিছু টিপস :

. শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। তেলের সঙ্গে আমলা বাটা, বাদাম বাটা, সিরকা মিশিয়ে নিন।

. শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার দিন।

. চুল কালার না করাই উত্তম কাজ। কারণ চুল কালার করার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।

. নিয়মিত চুল আঁচড়ালে খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।

. চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি।

. চুলের সাথে সামঞ্জস্যহীন ব্র্যান্ডের ভাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

. চুলের পুষ্টির জন্যে পানি জাতীয় খাবার, পানি, ফল, শাক-সবজি ইত্যাদি নিয়মিতি বেশি করে খেতে হবে। এতে চুল শুধু ঝলমলে আর সুন্দরই হবে না, চুল ঝরে পড়াও বন্ধ হবে।

. মাথার ত্বকে ফোসকা বা ঘামাচি দূর করতে সপ্তাহে একদিন নিমপাতা ভেজানো পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে।