অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নগরীতে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ইন্টানেটে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি, ধর্ষক গ্রেফতার

0
.

নগরীর ইপিজেড থানার কলসীর দিঘির পাড় এলাকায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ভাবে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কৌশলে শাররিক মেলামেশা করে তা মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বার বার ধর্ষণ এবং মোটা অংকের টাকা আদায় করার অভিযোগে মোঃ রুহুল আমিন (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

রবিবার ১৫ জুলাই র‌্যাবের পরামর্শে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধারণ করা শাররীক সম্পর্কের ভিডিও, মেমোরী কার্ড, ক্যামেরা ফেরত দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে কৌশলে ডেকে এনে নগরী ইডিজেড বে-শপিং সেন্টারের সামনে থেকে রুহুল আমিনকে র‌্যাব গ্রেফতার করে।  এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ক্যানন ক্যামেরা, একটি পেনড্রাইভ, দুটি মেমোরী কার্ড, একটি কার্ড রিডার, দুটি মোবাইল সেট এবং তিনটি সীম কার্ড।

গ্রেফতারকৃত রুহুল আমিন খুলনার বাগেরহাট জেলার মংলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।  সে ইপিজেড নয়ারহাট এলাকায় বল্লা সওদাগরের বাড়ী থাকেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান পাঠক ডট নিউজকে বলেন, মেয়েটির বাবা মোঃ দেলোয়ার গাজী (৫০) র‌্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ করেন, তার কিশোরী মেয়ে মদিনা আক্তার (১৪) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সু বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে এবং তার অগোচরে ও শারীরিক সম্পর্ক আসামীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থির চিত্র ও ভিডিও ধারন করে। এরপর থেকে আসামী মোঃ রুহুল আমিন ভিকটিমের সাথে বার বার শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে এবং শারীরিক সম্পর্ক না করলে ভিকটিমের আপত্তিকর ছবি ও অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে।

র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামীর হুমকির ভয়ে ভিকটিম মোসাঃ মদিনা আক্তার আসামীর কথামত চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন কলসী দিঘীর পাড়, বাদামতলাস্থ জনৈক বল্লা সওদাগরের বাড়ীতে গেলে রুহুল আমিন কিশোরীকে বাড়ীর একটি ফাঁকা রুমে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করে।  এক পর্যায়ে আসামী মোঃ রুহুল আমিন কিশোরীর অশ্লীল স্থির চিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবী করলে মান সম্মানের ভয়ে মদিনা আক্তার তাকে ( রুহুল আমিনকে) বিভিন্ন অংকের টাকা দেয়।

পরবর্তীতে আজ ১৫ জুলাই বিকালে আসামী মোঃ রুহুল আমিন পুনরায় টাকা দাবী করে এবং টাকা না দিলে ভিকটিম মোসাঃ মদিনা আক্তারের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগে ছেড়ে দেওয়াসহ ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, আসামী মোঃ রুহুল আমিনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ইপিজেড থানাধীন বে-শপিং সেন্টার এর সামনে অভিযান চালিয়ে আসামী মোঃ রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) এবং তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০১২ এর ৫৭ ধারা মোতাবেক চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।