অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাসপাতালে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, ইন্টার্ন চিকিৎসক আটক

1
.

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সাথে থাকা এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।

আজ সোমবার অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

আটক ওই চিকিৎসকের নাম মাক্কাম আহমদ মাহী। তিনি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার মোখলেসুর রহমানের ছেলে এবং ওসমানী মেডিকেলের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

কোতোয়ালী থানার এসি গোলাম সাদেক কাউসার দস্তগীর ওই ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগীর স্বজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটি বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছে। মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে কি না পুলিশ সেটি খতিয়ে দেখছে। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রী তার অসুস্থ নানির সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিলেন।

স্কুলছাত্রীর পরিবারের দাবি রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নানির প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে গেলে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।

পরে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাহীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক এ ব্যাপারে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের এবং ওই চিকিৎসককে নিয়ে বসি। মেয়ের পক্ষ এবং ওই ইন্টার্নের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মেয়ের পরিবারের আনা অভিযোগ মাহী অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।’

১ টি মন্তব্য
  1. Abulhasnat বলেছেন

    জানুয়ার রে শাস্তি দেওয়া হোক