ভল্টে স্বর্ণ হেরফের করার যে অভিযোগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এনেছে তা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুল্ক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সূত্র ধরে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রবিউল হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সংরক্ষিত স্বর্ণ বদলানো বা হেরফের করার কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন…হেরফের করার কোনো সুযোগ নেই।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ কর্মকর্তার দাবি, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ইচ্ছামতো ওই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। এর সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি জানান, মাঝেমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের যন্ত্রের ফলাফলের সাথে এনবিআরের ফলাফলের ভিন্নতা আসে। প্রতিটি যন্ত্র ভিন্নভাবে ফল নির্ণয় করে। এনবিআরের যন্ত্রের ফল নির্ণয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্দেহ আছে বলেও জানান তিনি।
রবিউল হোসেন আরো বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যে বিষয়টি তৃতীয়-পক্ষের যন্ত্র দিয়ে যাচাই করে দেখার প্রস্তাব দিয়েছে, বিশেষ করে সেখানে ভিন্নতা এসেছে।
ভল্টে থাকা কিছু স্বর্ণের অলঙ্কার ও চাকতি হেরফের করা হয়েছে বলে এনবিআরের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার জেরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সেখানে বিপুল হেরফের দেখা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যংকের কাছে নাকি স্বর্ণ যাচাই করার ৪ কোটি টাকা দামের কিছু যন্ত্রপাতি আছে যেটা স্বর্ণকে সোনা, আর ধাতুকে ও সোনা মনে করে! মাঝে মধ্যে চিনে মাঝে মধ্যে চিনে না!