অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কাশ্মীরের ঐতিহ্য ‘ওজওয়ান’

0

বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ কাশ্মীর বেড়াতে যান। ঘোরাঘুরির পাশাপাশি কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী ওজওয়ান খেয়ে দেখতে পারেন। অসাধারণ খেতে। ওজওয়ান প্লেটারের দাম ৩৬০০ রুপি। এক প্লেটের ওজওয়ান ৭-৮ জন খাওয়া যায়।

কাশ্মীরের ওজওয়ানের মধ্যে সবচেয়ে ভালোটি পাওয়া যায় হোটেল মুঘল দরবারে। শ্রীনগর শহরে দুইটা মুঘল দরবার আছে। একই বিল্ডিংয়ের নিচতলায় একটা। আর দুই তলায় আরেকটা। স্থানীয়দের মতে, দুই তলার মুঘল দরবার পুরানো ঐতিহ্যবাহী ওজওয়ানের মান ধরে রেখেছে।

ওজওয়ান একটি সংস্কৃত শব্দ, যা দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। একটি হলো ‘ওজ’ যার অর্থ কুকিং বা রান্না করা আর একটি হলো ‘ওয়ান’ যার অর্থ শপ বা দোকান।

এই ওজওয়ান কাশ্মীরি সংস্কৃতির একটি অংশ এবং রন্ধন শিল্প যা যুগ যুগ ধরে কাশ্মীরের সিগনেচার ডিশ হিসেবে খ্যাত। আন্তর্জাতিক ফুড ফেস্টিভ্যালে এই খাবারটি স্থান পায়। এটাকে অনেকগুলো ডিশের সম্মেলন বা কম্বো বলা যেতে পারে যেখানে খাসি, ভেড়া বা মুরগির মাংসসহ ২৮টি পদের সমন্বয়। এর মধ্যে ২০-২৫টি পদই থাকে মাংসের নানা প্রিপারেশন।

খাবার শুরুর আগে টাশ-টি-নের নামক বড় বেসিনে হাত ধুয়ে নেয়ার রীতি রয়েছে। তাম্রপাত্রে এক থাল পোলাওয়ের ওপর দুটি শিক কাবাব, চারপিস মাংসের মেথি কোরমা, দুটি তাবাক মাজ, একটি সফেদ ককুর (চিকেন উইথ হোয়াইট সস), জাফরান ককুর (চিকেন উইথ জাফরান সস) এবং আরও কিছু বিশেষ পদ থাকে।

দই এবং চাটনি আলাদা পাত্রে দেয়া থাকে এবং একই সঙ্গে আরও প্রায় ২০ রকমের পদ একের পর এক পরিবেশন করা হয়। সাতটি পদ অবশ্যই থাকতে হবে এই ওজওয়ানে। সেগুলো হলো— তাবাক মাজ, রিস্তা (মিটবল), রোগান জোস, দানিয়েল কোরমা, আব গোস, মার্চওয়াগান কোরমা এবং গোস্তাবা। গোস্তাবাই সবার শেষে পরিবেশন করা হয়।