অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নেত্রী চাইলে চট্টগ্রাম ৮-আসনের নৌকার কান্ডারী হতে চাই- রানা

6
.

আব্দুল্লাহ আল জামিলঃ

নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার গোলাম আলী নাজের বাড়ীর সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি পারিবারিকভাবেই স্কুল বয়স থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮২ সালে ৮ম শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় প্রত্যক্ষভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ছাত্রজীবন থেকে নানা রাজনৈতিক হামলা মামলার শিকার হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রেখেছেন।

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেত্বত্বে সকল আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন রাজপথের অগ্রভাগে। অতীতের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থাকা বঙ্গবন্ধুর আদর্শেও ত্যাগী এই সৈনিক জানালেন তিনি চট্টগ্রাম ৮ (নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বোয়ালখালী) আসন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে চান। আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে তিনি হতে চান বন্দর নগরীর প্রবেশদ্বারে অবস্থিত এই সংসদীয় আসনের নৌকার মাঝি।

.

সম্প্রতি পাঠক ডট নিউজের সাথে একান্ত আলাপকালে নিজের এই অভিব্যাক্তির কথা প্রকাশ করেন।

নিজের পরিবার ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবার জানিয়ে নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানা বলেন, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম চৌধুরী শহর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আম্মা মর্জিনা বেগম ছিলেন ১৯৮৫ গঠিত নগর মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা। আমার জেঠা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ডা: সৈয়দুর রহমান চৌধুরী ছিলেন সিটি আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাত সাধারণ সম্পাদক ও আগরতলা মামলার আসামী। চাচা গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী ছিলেন নগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিটি কলেজ এর জিএস। আমার চাচা ইদ্রিস মিয়া ছিলেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ্য সহচর। ছোট ভাই তারেক মাহমুদ চৌধুরী পাপ্পু কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য ।

.

পারিবারিক ঐতিহ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার দাদার দাদা গোলাম আলী নাজির ছিলেন মোগল আমলের নাজির। আমার দাদার বাবা ছিলেন তৎকালীন চান্দগাঁর জমিদার অসি আহমেদ চৌধুরী,আমার দাদা অভিবক্ত বাংলার রেলের প্রধান হিসাব রক্ষক জালাল আহমেদ চৌধুরী।

প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পারিবারিক জীবনে এক সন্তানের জনক এই রাজনীতিবিদ বলেন, আমি ১৯৮২ সালে ৮ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় ‘‘আমরা রাসেল’’ নামক সংগঠনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতির হাতেখড়ি।

এই সংগঠনের পৃষ্টপোষক ছিলেন প্রয়াত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৯৮৩-৮৪ সালে আমি মিউনিসিপ্যাল স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৮৮-৮৯ সালে ২৫ নং রামপুর ওয়াার্ড ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ১৯৮৯-৯০ সালে ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের যগ্ন আহবায়ক ছিলাম। এরপর ১৯৯৪-৯৪ নগর যুবলীগের ঘোষিত এডহক কমিটির সদস্য হিসেবে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হই। ২০০৪ সালে ঘোষিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলাম।

.

রাজনৈতিক জীবনের সরকার বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে এই তরুণ রাজনীতিবিদ বলেন, আমি ১৯৯১ থেকে ৯৬ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সরকারের স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় রাজপথে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে বিএনপির শাসনামলে খুনের মামলাসহ একাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। তবে আমার বিরুদ্ধে থানায় নন রাজনৈতিক কোন মামলা নেই। ১৯৮৫ সালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লালদীঘির জনসভা পন্ড করতে গিয়ে জেলে গিয়েছিলাম। তখন আমি কলেজ ছাত্র ছিলাম। বর্তমান সরকারের আমলেও বিএনপি-জামায়াতের জাালাও পোড়াও ও সহিংস আন্দোলন মোকাবিলায় চট্টগ্রামের জনমানুষের নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম এবং এখনো আছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর নৌকা নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা যদি আমাকে দিয়ে নৌকার কাজ করাতে চায় আমি করবো। আমার ৩৫বছরের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও আমার পরিবারের এই দলের প্রতি যে ত্যাগ তিতিক্ষা সেই কারনেই আমি নৌকার কান্ডারী হতে চাই। নেত্রী বলেছেন ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবে যদি ত্যাগী ও তৃণমূলকে মুল্যায়ন করে তাহলে আমিই যোগ্যপ্রার্থী।

দলের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আপনি জনগণের জন্য কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বোয়ালখালীতে আমার শত শত নিকট আত্মীয় আছে। আমি সন্ত্রাস, মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করবো। আমি এমপি নির্বাচিত হলে সংসদীয় আসনের যখন যে সমস্যা আসবে তখন সেটাকেই অগ্রধিকার দিবো।  বোয়ালখালীতে নদী ভাঙ্গার কিছু সমস্যা রয়েছে।  সেগুলো সমাধান করবো। সংসদীয় আসনের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করবো।

নিজের ব্যবসায়িক ও সামাজিক কর্মকান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সিএন্ড এফ ব্যবসার সাথে জড়িত, ফাহমিদা কর্পোরেশন নামে নিজস্ব ফার্ম রয়েছে। আমি চট্টগ্রাম চেম্বার এর সদস্য, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য। আমি ক্যান্সার রোগী থেকে শুরু করে গরীব রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা করে থাকি। বিভিন্ন্ স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় দান করে থাকি তবে তা প্রকাশ করিনা।  সামাজিক দায়বদ্ধতায় সব কিছু করে থাকে। কিন্তু এসব আমি তা প্রচার করতে চাইনা। আমি প্রচার বিমুখ।

দল বা জোট থেকে মনোনয়ন না পেলে আপনি কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে রানা বলেন, আমার দল আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেয় অবশ্যই আমি তার পক্ষেই কাজ করবো। দলের সাথে কখনো বেঈমানী করবোনা। আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমার রক্তের সাথে মিশ্রিত। দলে যদি জোট থেকে কাউকেও মনোনয়ন দেয়া আমি তার পক্ষেই কাজ করবো।

৬ মন্তব্য
  1. Mustafa Nazim Pasha বলেছেন

    চাচা MP র জন্য তৈরী হও।

  2. Jashim Uddin Ahmed বলেছেন

    ভাই আমিও আমার বন্ধুরা আপ নার জন্য আছি ডাক লেই পাবেন ন মিনেশ ন পাওয়া আপ নার ত্যাগের হক আচে রাজপথে রত্যাগী নে তা হিসেবেই আপ নার প রিচ য় আমাদের কাছে

  3. Shadman Tasin বলেছেন

    Inshallah 9 no. Sit ta ekdin niboi ♥

  4. Shohid Khan বলেছেন

    ওনি গোলাম আলী নাজির বাড়ী না নিউজ ভুল হয়ছে।।

  5. Shohid Khan বলেছেন

    গোলাম কিবরিয়া দাদাতো আমার আপনার কোনদিক দিয়ে চাচা হলো??আর ওনি জিএস ছিলেন না ভিপি ছিলেন।

  6. Nozum Kasam বলেছেন

    যোগ্য ও ত্যাগী নেতা দেওয়া যায়। নবীনদের রাজনিতীতে আসতে হবে।