অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ইউএনও’র রুহুল আমিনের মহানুভবতায় সোহাগী পেল নতুন ঘর

0

“আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।”

.

কবি জসিম উদ্দিনের সেই আসমানীর কথা নিশ্চয় পাঠকের মনে পড়েছে। তবে আজ আসমানী নয়, রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার সোহাগীর গল্প নিয়ে এ প্রতিবেদন।  আসমানী সাথে এ সোহগীর জীবনের ঘটনা অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বিভিন্ন বাসায় গৃহস্থালির কাজ করেন সোহাগি। কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কয়লার ডিপু এলাকায় তাদের বসবাস। জরাজীর্ণ ঘর, বৃষ্টি আসলে আশ্রয় নিতে হয় অন্যের ঘরে। সোহাগির পিতা ষাটোর্ধ দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে হাঁফানি রোগে আক্রান্ত। ৪ ছেলেমেয়ের সংসারে অভাব অনটন সবসময় লেগে আছে।

.

এই অবস্থায় সোহাগির পরিবারের কথা জানতে পারেন কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।  সাথে সাথে ছুটে যান সোহাগীর বাড়ীতে তাদের দু:খ ও কষ্ট দেখে আজ মঙ্গলবার সকালে সোহাগিদের বাড়ীতে পাঠানো হয় নতুন টিন, ঘর তৈরির কাঠ এবং কাঠ মিস্ত্রি আর সন্ধ্যার মধ্যে সোহাগিরা পায় নতুন ঘর।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের মহানুভবতায় সোহাগী পেল নতুন ঘর।  আজ মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রঘোনা কয়লার ডিপু সোহাগিদের ঘরে টিন, নতুন ঘর তৈরির কাঠ এবং কাঠ মিস্ত্রি।

.

সন্ধ্যার মধ্যে সোহাগিরা পায় নতুন ঘর। সোহাগিদের পরিবারের পক্ষ হতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে।।

নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আমি নিজে গিয়ে দেখি, খুবই জরাজীর্ণ ঘর,দুইটা রুম।রান্নাঘরে নাই বেড়া,টিন ছদ্র।দুইটা রুম। এই অবস্হায় বসবাস আসলেই খুব কস্টের। তাই একটু মাথাগোঁজার ব্যবস্হা করা হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।